রোববার (১৪ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হোসেন আলী বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জে, সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার চরাঞ্চলের নদী তীরবর্তী রাস্তাঘাট-বিদ্যালয় গুলোতে ইতোমধ্যে পানি প্রবেশ করেছে।
এদিকে, নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। জেলার চার উপজেলার ১১৩ গ্রামের ৪৪ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট, বাড়িঘর ও ফসলী জমি।
সকালে ব্রহ্মপুত্রের পানির তোড়ে সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়নের বাগুড়িয়া এলাকায় বাঁধের ১শ ফিট অংশ ধ্বসে যায়।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক মোখলেছুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, রোববার সন্ধ্যায় ফুলছড়ি পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ৮৬ সেন্টিমিটার, শহরের ব্রিজ রোড পয়েন্টে ঘাঘট নদীর পানি ৫৭ সেন্টিমিটার এবং কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পানিবন্দি মানুষের জন্য ৬৩টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষের জন্য জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় বন্যা কবলিত ৪ উপজেলায় ২৪০ মে. টন চাল, নগদ ২ লাখ টাকা, ২
হাজার শুকনা খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০২৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৯
এসএইচ