রোববার (১৪ জুলাই) ঢাকায় ডাক অধিদপ্তরের সদরদপ্তরে অধিদপ্তরের সার্কেল ও ইউনিট প্রধানদের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, দেশব্যাপী ডাক অধিদপ্তরের বিস্তৃত নেটওয়ার্ক ও বিশাল জনবলকে কাজে লাগিয়ে ২০২৩ সালের মধ্যে সব ডিজিটাল সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশ পোস্ট অফিসকে দক্ষিণ এশিয়ার দৃষ্টান্তকারী হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, পোস্টম্যান থেকে মহাপরিচালক পর্যন্ত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সময়পোযোগী জনসম্পদ হিসেবে তৈরি হতে হবে।
এ লক্ষে উপযোগী কারিক্যুলাম তৈরির মাধ্যমে টেকসই প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ডাক প্রশিক্ষণ একাডেমিসহ অধিদপ্তরের প্রতিষ্ঠানসমূহকে কার্যকর উদ্যোগ নিতে মন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এসএস ভদ্র এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মহিবুল ইসলাম সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে পোস্টাল কেন্দ্রীয় সার্কেল, ঢাকা মেট্রো সার্কেল, চট্টগ্রাম ও রংপুর সার্কেলের পোস্ট মাস্টার জেনারেলরা, রংপুর ও ঢাকা অঞ্চলের জিএমরা এবং পোস্টাল একাডেমির প্রিন্সিপাল ডাক বিভাগের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জের বিষয়ে তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আরও বলেন, যে প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্ভাবনা রয়েছে তার চ্যালেঞ্জও আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে বাংলাদেশ অভাবনীয় রূপান্তরের সময় অতিক্রম করছে। বাংলাদেশ গত দশ বছরে বিস্ময়কর অগ্রগতি অর্জন করেছে। অগ্রগতির এ অগ্রযাত্রায় আগামী ৫ বছরের ডিজিটাল প্রযুক্তি হবে অভাবনীয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবটিক, আইওটি, বিগডাটা কিংবা ব্লকচেইনের মতো প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার সক্ষমতা অর্জন করে টিকতে হবে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের বিদ্যমান মানবসম্পদকে ভবিষ্যত প্রযুক্তি উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে, রূপান্তরের সঙ্গে চলতে হবে।
তিনি বলেন, যে প্রযুক্তি দিয়ে দুনিয়া চলবে ডাক বিভাগও তাই করবে। এ লক্ষে ডাক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোকে প্রযুক্তি ব্যবহারের উপযোগী মানবসম্পদ গড়ার প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা অপরিহার্য।
বাংলাদেশ সময়: ০৪১৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৯
এসএইচএস/এসএইচ