মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকালের দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসই) আবদুল খান জানান, আইসিইউতে থাকা বিএমপি ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়া মারা গেছেন বলে দায়িত্বরত চিকিৎসক সূত্রে জানতে পেরেছি।
এর আগে সোমবার (১৫ জুলাই) রাতে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. মো. আলাউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, বরিশালে কাভার্ডভ্যান চাপায় আহত বিএমপি ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়াকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টারে দিকে ঢামেক হাসপাতালে আনা হয়েছে। তারপর তাকে ঢামেক হাসপাতালের জেনারেল বিভাগের আইসিইউতে রাখা হয়েছে। তার অবস্থা ক্রিটিক্যাল। তিনি লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন।
এরআগে সোমবার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে বরিশাল নগরের বঙ্গবন্ধু উদ্যান থেকে হেলিকপ্টারে করে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। তার সঙ্গে ছিলেন ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট তাওহীদ।
তাকে ঢাকায় পাঠানোর সময় বরিশাল নগরের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে উপস্থিত ছিলেন- বরিশাল মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান, উপ-পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান, আবু রায়হান মো. সালেহ, মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁঞাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও তার সহকর্মীরা।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কে পেশাগত দায়িত্বপালনের সময় কাভার্ডভ্যান চাপায় গুরুতর আহত হন বিএমপি ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়া।
তিনি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন জিরো পয়েন্ট এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন। এসময় একটি কাভার্ডভ্যান ঢাকা থেকে বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দিকে যাচ্ছিলো। তিনি কাভার্ডভ্যানটিকে সিগন্যাল দিলে চালক তা অমান্য করে চালিয়ে যায়। এরপর সার্জেন্ট কিবরিয়া গাড়িটিকে ধাওয়া করে ধরার চেষ্টা করলে সেটি তাকে চাপা দিয়ে চলে যায়।
পরে সেখানে থাকা ট্রাফিক বিভাগের কনস্টেবল মামুন বন্দর থানা পুলিশের সদস্য ও স্থানীয়দের সহায়তায় সার্জেন্ট কিবরিয়াকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পরে নলিছিটি থানা পুলিশের সহায়তায় কাভার্ড ভ্যানটি জব্দ ও তার চালক জলিল সিকদারকে আটক করা হয় বলে জানায় পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৯
এজেডএস/জেডএস