শুক্রবার (১৯ জুলাই) দুপুরে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির বিশেষ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বন্যা যতদিন থাকবে, ততদিন ত্রাণ কার্যক্রম চলবে।
সে লক্ষ্যে ইতোমধ্যে গাইবান্ধায় নগদ ১৫ লাখ টাকা, এক হাজার ১শ’ মেট্রিক টন চাল, ৫০০ বান্ডিল টিন ও ৫০০ তাঁবু, বিশুদ্ধ পানি দুই হাজার জ্যারিকেনসহ নানা ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হয়েছে।
সভায় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, বন্যা আক্রান্ত এলাকা ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রক্ষায় সরকার কাজ করছে। গাইবান্ধা শহর রক্ষায় একটি বেড়িবাঁধ নির্মাণের প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাঁধটির নির্মাণকাজ শিগগিরই শুরু করা হবে। এই বাঁধটি নির্মাণ হলে একদিকে যেমন গাইবান্ধা শহর রক্ষা হবে, তেমনি বন্যার্ত
মানুষও ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে বাঁচবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক রোখসানা বেগম। বক্তব্য রাখেন-জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া মিয়া ও হুইপ মাহাবুব আরা বেগম, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ
সচিব শাহ কামাল, গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী, পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান মিয়া, গাইবান্ধা পৌর মেয়র শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবীর, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক,
ফুলছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম সেলিম পারভেজ প্রমুখ।
পরে বিকেলে প্রতিমন্ত্রী ফুলছড়ি উপজেলার বিভিন্ন বন্যকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে ফজলুপুর ইউনিয়নে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, ১৯ জুলাই, ২০১৯
আরএ