শনিবার (২০ জুলাই) ভোরে নিজ বাড়ি খাগদী থেকে তাকে গ্রেফতার করার পর দুপুরে র্যাব-৮ এর অতিরিক্ত ডিআইজি (সিও) আতিকা ইসলাম মাদারীপুর ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
এর আগে ১৯৯২ সালে ৭ বছরের শিশুকে গলাকেটে হত্যা মামলায় ১৮ বছর কারাভোগ করেন সাজ্জাদ।
র্যাব-৮ এর প্রধান কমান্ডিং অফিসার (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি আতিকা ইসলাম বলেন, গত ১১ জুলাই মাদারীপুর শহরের ইটেরপুল বোনের বাসা থেকে সাজ্জাদের ইজিবাইকে করে চরমুগরিয়ার দিকে যাচ্ছিল দিপ্তী। পথে পূর্ব খাগদী এলাকায় বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় সাজ্জাদ ইজিবাইকটি থামিয়ে দিপ্তীকে জোর করে তার বাড়িতে নিয়ে চেতনানাশক দিয়ে অচেতন করে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে দিপ্তী অসুস্থ হয়ে পড়লে গলা টিপে তাকে হত্যা করা হয়।
পরে গলায় ইট বেঁধে মরদেহ বস্তায় ভরে তার বাড়ির কাছের একটি পুকুরে ফেলে দেয়। ১৩ জুলাই মরদেহ পুকুরে ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়।
পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠায়। খবর পেয়ে মরদেহটি দিপ্তীর বলে শনাক্ত করে পরিবার।
১৪ জুলাই নিহত দিপ্তীর পরিবার সদর মডেল থানায় ধর্ষণ শেষে হত্যা করা হয়েছে মর্মে একটি মামলা করে। মরদেহ উদ্ধারের সূত্র ধরে তদন্তে নামে র্যাব। পরে ধর্ষণ ও হত্যার কাজে ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার ও সাজ্জাদকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় সাজ্জাদ দোষ স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে র্যাব। শনিবার দুপুরে সাজ্জাদকে সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৯
আরএ