শনিবার (২০ জুলাই) সকালে ভেড়ামারা শহরের শিল্পী ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রিতু খাতুন মিরপুর উপজেলার বহলবাড়িয়া গ্রামের আনিসুর রহমানের স্ত্রী।
নিহতের চাচাতো ভাই রাব্বি ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে রিতুর প্রসব বেদনা শুরু হলে পরিবারের সদস্যরা তাকে ভেড়ামারা শিল্পী ক্লিনিকে ভর্তি করেন। শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাড়াতাড়ি সিজার করতে হবে বলে জানায় ক্লিনিক মালিক আশরাফ এবং শিল্পী।
ওই ক্লিনিকের চিকিৎসক ডা. টিএ কামালীর তত্ত্বাবধানে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে রিতুর একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। কিন্তু অপারেশনে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে তা বন্ধ করতে না পারায় রক্ত শূন্য হয়ে রিতুর মৃত্যু হয়।
এ সময় মৃত্যুর ঘটনা ধামাচাপা দিতে ক্লিনিক মালিক ও চিকিৎসক কুষ্টিয়ায় স্থানান্তরের নাটক সাজিয়ে তাড়াতাড়ি করে একটি প্রাইভেটকার ভাড়া করে রিতুর মরদেহ বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
শনিবার সকালে আত্মীয়-স্বজনরা রিতুর মরদেহ নিয়ে শিল্পী ক্লিনিকের সামনে অবস্থান নেয়। এ সময় ক্ষিপ্ত স্বজনরা ক্লিনিক মালিক আশরাফুল ও শিল্পী খাতুনকে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে ভেড়ামারা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং ক্লিনিক মালিক আশরাফুল এবং শিল্পী খাতুনকে আটক করে। এ ঘটনার পর থেকে ক্লিনিকের চিকিৎসক টিএ কামালী পলাতক রয়েছেন।
ভেড়ামারা থানার সেকেন্ড অফিসার রিফাজ উদ্দিন জানান, ক্লিনিক মালিককে থানায় আনা হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৯
আরএ