শনিবার (২০ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর বনানীতে বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি পাটপণ্য গবেষণা ও নকশা কেন্দ্রের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
বর্তমান বিশ্বে পাটের হারানো মর্যাদা আবার ফিরে এসেছে উল্লেখ করে বি. চৌধুরী বলেন, সময়মতো সঠিক কাজটি করতে পারলে দ্রুততম সময়ে পাটের নতুন নতুন পণ্য তৈরি সম্ভব হবে।
পাট বিশেষজ্ঞ ড. মুবারক আহমদ খান উদ্ভাবিত পাটের পলিব্যাগ ‘সোনালী ব্যাগ’কে (প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নাম) যুগান্তকারী আবিষ্কার উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন এ ব্যাগের বাণিজ্যিক উৎপাদনে শিল্প উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে। প্রাণঘাতি পলিথিনকে ধ্বংস করতেই হবে। যদিও সরকার এ পলিথিন বহু আগেই নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু তবুও এর ব্যবহার এখনো বন্ধ হয়নি।
জুট মিলস করপোরেশনের বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা পাট বিশেষজ্ঞ ড. মুবারক আহমদ খান সমীক্ষার উল্লেখ করে বলেন, আটলান্টিক মহাসাগরে যে পরিমাণ পলিথিন জমেছে, তা ফ্রান্সের মতো দু’টো দেশের সমান হবে।
মানবদেহের জন্য পলিথিনকে প্রাণঘাতি উল্লেখ করে এ পাট বিশেষজ্ঞ বলেন, আমাদের দেশে গবেষণায় দেখা গেছে, গবাদিপশুর পেটে বহু পলিথিন ব্যাগের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। কারণ পলিথিন কখনো বিনষ্ট হয় না। অপরদিকে নিজের উদ্ভাবিত পাটের পলিব্যাগ ব্যবহারের পর সহজেই বিনষ্ট হয়ে যায়।
পাট গবেষণা ও নকশা কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী ও পাটশালার চেয়ারম্যান সরদার শামস আল মামুনের (চাষি মামুন) সভাপাতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক ড. মো. নাসিমুল গণি, পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পাট গবেষক আবদুল্লাহ আল মামুন, বিকল্পধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪২ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৯
এমএইচ/আরবি/