স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলাটির এই সড়কে কিছুদিন পর পর চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এছাড়া ঈদ আসলে এ সড়কে অপরাধ প্রবণতা বেড়ে যায়।
সম্প্রতি মাধবপুর থানায় ওসি হিসেবে যোগদানের পর কেএম আজমিরুজ্জামান সড়কটিতে চুরি-ডাকাতি রোধে উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এরই অংশ হিসেবে বাণেশ্বর ও মাহমুদপুর গ্রামের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে ওসি পরামর্শ করেন। এরপর তিনি স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তার ঝোপঝাড়-আগাছা পরিষ্কারের আহ্বান জানালে শনিবার (২০ জুলাই) তরুণ সমাজসেবক মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে এলাকার শতাধিক লোক দা, কুড়াল ও কোদাল নিয়ে রাস্তায় নামেন। নিজে নিজে তারা রাস্তার দু’পাশের ঝোপঝাড় পরিষ্কার করেন। এ নিয়ে বিদেশ ফেরত আনিসুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বাণেশ্বর ও মাহমুদপুর গ্রামের অনেক লোক ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় থাকেন। ঈদ মৌসুমে অনেকে গ্রামে আসেন। রাত ১০টার পর বাণেশ্বর গ্রামে সিএনজি অটোরিকশা আসতে ভয় পায়। কারণ এ রাস্তায় ঝোপঝাড় থাকার কারণে দুর্বৃত্তরা সেখানে ওৎ পেতে থেকে যাত্রীদের ওপর হামলা করে টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয়। এখন রাস্তা পরিষ্কার হওয়ায় এই অপরাধ কমে যাবে বলে মনে করছি।
বাণেশ্বর গ্রামের পল্লী চিকিৎসক সেলিম চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, আন্দিউড়া-বাণেশ্বর রাস্তায় স্বেচ্ছাশ্রমে আগাছা ও ঝোপঝাড় পরিষ্কার হওয়ায় নিরাপত্তা বৃদ্ধি পেয়েছে। রাতের আঁধারে চলাচল করতে কোনো অসুবিধা হবে না। আগে দুর্বৃত্তরা ঝোপঝাড়ে ওৎ পেতে থাকতো। আবার অপরাধ করে ঝোপঝাড়েই আশ্রয় নিতো। এখন আর এ সুযোগ নেই।
বাংলানিউজকে ওসি আজমিরুজ্জামান বলেন, স্থানীয় জনগণকে বুঝিয়ে বলা হয়েছিল, ঝোপঝাড় পরিষ্কার করার জন্য। এতে তারা উৎসাহিত হয়ে ঝোপঝাড় পরিষ্কারে নামে। আগে ঝোপঝাড়ের কারণে টহল পুলিশ দূরে কী হচ্ছে, দেখতে পেতো না। এবার দুর্বৃত্তরা আতঙ্কে থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭২০ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৯
টিএ