রোববার (২১ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবে বিআরডিবি কর্মচারী সংসদ সিবিএ-এর উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
এতে সিবিএ নেতারা অভিযোগ করেন, বিআরডিবির বাস্তবায়নাধীন একটি প্রকল্পে প্রায় আট হাজার জনবল রয়েছে, যারা মাসের পর মাস বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না।
এ অবস্থায় বিআরডিবি-এর নাম পরিবর্তন করলে প্রতিষ্ঠানটিতে স্বচ্ছতা আসবে। পাশাপাশি কাজের গতিও ফিরবে। একই সঙ্গে দেশের দারিদ্র্য বিমোচনে বিআরডিবি আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।
সিবিএ সভাপতি মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে বিআরডিবি-এর আওতাধীন বিভিন্ন প্রকল্পের দায়িত্ব পালন করছি। এটি বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে গড়া প্রকল্প। ইতোমধ্যে আমরা ১৫টি প্রকল্পের কাজ শেষ করেছি। আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিলো, একটি প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার পরই পূর্ণাঙ্গ বেতনে চাকরি স্থায়ী করা হবে। কিন্তু আজও তা করা হয়নি। বরং বিগত প্রায় দুই বছর ধরে আমাদের কোনো বেতন-বোনাস দেওয়া হচ্ছে না।
তিনি বলেন, পাওনা বেতন-বোনাস আদায় ও চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য প্রকল্পের কর্মকর্তারা আদালতের আশ্রয় নেয়। মানবিক বিবেচনায় আদালত বিআরডিবির রাজস্ব বাজেটের শূন্যপদে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন। কিন্তু আদালতের আদেশ না মেনে আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে। উল্টো আমাদের নামে ফৌজদারি মামলা করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ৭ দফা দাবি তুলে ধরেন। এগুলো হচ্ছে- বিআরডিবি-এর নাম পরিবর্তন করে ‘বঙ্গবন্ধু পল্লী উন্নয়ন অধিদফতর’ করা; এর মধ্যে বিআরডিবির রাজস্ব বাজেটভুক্ত জনবলসহ এর আওতাধীন সব প্রকল্পের কর্র্মীদেরও আত্তীকরণ করতে হবে, বিআরডিবির সাবেক ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালকের করা ফৌজদারি মামলা প্রত্যাহার করতে হবে, আদালতের রায় মোতাবেক জনবল স্থানান্তর করতে হবে, প্রকল্পের সব কর্মচারীকে শতভাগ বেতনসহ প্রাপ্ত ঋণ তহবিল দিতে হবে, বিআরডিবির রাজস্ব বাজেটভুক্ত তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের দ্রুত পদোন্নতি এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুসারে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীতে পদোন্নতি দিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিআরডিবি কর্মচারী সংসদ সিবিএ-এর সাধারণ সম্পাদক মফিজুল ইসলাম, সহ-সভাপতি আলী আজগর মোল্লা, এমএ বারি দুলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল কবির খান, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক একেএম রফিক, লুবনা নাজরিন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৯
ইএআর/এসএ