সোমবার (২২ জুলাই) ভোরে উপজেলার ভারতীয় সীমান্ত ডুমুর তলা নামক স্থানে এ ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়। এসময় চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
শিপন শেরপুর সদর উপজেলার মুন্সীরচর এলাকায় জালাল উদ্দিনের ছেলে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস আই) আজিজুর রহমান, এসআই রাজু আহাম্মেদ, কনস্টেবল নকরেট ও কং মিজানুর রহমান।
রোববার (২১ জুলাই) রাতে জামালপুরের বকশীগঞ্জে নৌ ডাকাতির সময় স্থানীয় মানুষের হাতে ধরা পড়ে শিপন। পরে তাকে বকশীগঞ্জ থানায় সোর্পদ করা হয়।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে এম মাহাবুবুল আলম বাংলানিউজকে জানান, দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারের জন্য শিপনকে নিয়ে প্রথমে সারমারা ও রামরামপুর যায় পুলিশ। সেখান থেকে ভোরে শিপনকে নিয়ে বকশীগঞ্জের কামালপুর ইউনিয়নের ডুমুরতলা নামক স্থানে আসার সঙ্গে সঙ্গে তার সহযোগীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। সন্ত্রাসীদের হামলায় চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
এ সময় পালানোর চেষ্টাকালে গুলিবিদ্ধ হয় শিপন। পরে তাকে উদ্ধার করে বকশীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শিপনের বিরুদ্ধে শেরপুর, শ্রীবরদী, ও বকশীগঞ্জ থানায় তিনটি হত্যা মামলাসহ ১৮টি মামলা রয়েছে।
এ বিষয়ে সোমবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) দেলোয়ার হোসেন সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে জানান ওসি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪২ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৯
আরএ