এদিকে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে স্থানীয়দের সচেতন করতে নানা ধরনের সচেতনতামূলক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। বিদ্যালয়গুলোতে পুলিশের পক্ষ থেকে সচেতনমূলক সভা করা হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খাগড়াছড়ির শহরতলীর বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ে গত কয়েকদিন ধরে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমেছে। মহালছড়ির তবলছড়ি কায়াংঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ে আতংকিত পরিবার তাদের সন্তানদের পাঠাচ্ছেন না। একই চিত্র জেলার বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ের।
তবলছড়ি কায়াংঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুমন চক্রবর্তী বলেন, গত দু’দিন ধরে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে গেছে। ছেলেধরা গুজব আতংকে তারা সন্তানদের পাঠাচ্ছেন না। আমরা তাদের এ বিষয়ে সচেতন করার চেষ্টা করছি।
ছেলেধরা সন্দেহে জেলার মাটিরাঙ্গা, লক্ষ্মীছড়িতে বেশ কয়েকজনকে আটক করে স্থানীয়রা। পরে ঘটনার সত্যতা না পেয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
এদিকে ছেলেধরা গুজবে আতঙ্কিত না হতে স্কুল পর্যায়ে সচেতনামূলক সভা করছে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ। সোমবার (২২ জুলাই) সকালে খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক কাটাতে সচেতনমূলক সভা করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ি সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রওনক আলম উপস্থিত ছাত্রছাত্রী ও অভিবাকদের সঙ্গে কথা বলেন। এসময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শ্রীলাতা লুকদারসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
রওনক আলম অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সারাদেশে কিছু স্বার্থন্বেষীমহল ছেলেধরা গুজব ছড়াচ্ছে। যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
কোথাও কোনো অস্বাভাবিক কাউকে দেখলে পুলিশকে অবহিত করতে অনুরোধ জানান তিনি।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মোহা. আহমার উজ্জামান বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা দফায় দফায় বৈঠক করেছি। স্থানীয়দের সচেতন করতে স্কুল, কলেজে সচেতনমূলক সভা করা হচ্ছে। মাইকিং, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রচারণা চলছে। ছেলেধরার বিষয়টি সম্পূর্ণ গুজব। এর কোনো ভিত্তি নেই। যা ঘটছে তা গুজবের কারণে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৯
এডি/এএ