মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) দুপুরের দিকে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, জেলার পাঁচটি উপজেলার ৩৯টি ইউনিয়ন ও তিনটি পৌরসভার ৪০০টি গ্রাম সম্পূর্ণ প্লাবিত হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ঘর-বাড়ির সংখ্যা মোট ৫০ হাজার ৩১৮টি। সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত ছয় হাজার ৫০৫টি ও আংশিক ৪৩ হাজার ৮১৩টি। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিপুল সংখ্যক রাস্তা, ব্রিজ, কালভার্ট ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
এদিকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলার ১৫ হাজার ৯৫৯ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। এর মধ্যে সম্পূর্ণ নষ্ট হয়েছে তিন হাজার ৪০০ হেক্টর জমির ধান, পাট ও শীতকালীন সবজিসহ বিভিন্ন ফসল।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-সহকারী প্রকৌশলী রণজিৎ কুমার সরকার বাংলানিউজকে বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ৩৩ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ২৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মঙ্গলবার সকালে হার্ডপয়েন্টে যমুনার পানি রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৫৯ মিটার (ডেঞ্জার লেভেল- ১৩ দশমিক ৩৫ মিটার)। আগামী ২৪ ঘণ্টায় পানি বিপদসীমার নিচে নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) ড. ফারুক আহম্মেদ বাংলানিউজকে বলেন, যমুনার পানি কমলেও বিপদসীমার ওপরেই রয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে ৩৯৮ দশমিক ৩ টন জিআর চাল, পাঁচ লাখ নগদ টাকা ও তিন হাজার ২৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। মজুদ রয়েছে আরও ৫০১ মেট্টিক টন জিআর চাল, আট লাখ টাকা ও সাড়ে ৭০০ প্যাকেট শুকনো খাবার। বানভাসিদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্রে ১১৫টি তাবু সরবরাহ করা হয়েছে। মজুদ রয়েছে ৩৮৫টি।
তিনি আরও বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত রয়েছে জেলা প্রশাসন। ত্রাণেরও কোনো সংকট নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৯
এসআরএস