মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) শেরে বাংলানগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ অনেক উৎসাহ দেয়, খাওয়া হয়, কিন্তু অর্থ পাওয়া যায় না।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বাইরে থেকে খুব একটা আর্থিক সহায়তা আসবে বলে মনে হয় না। মূল কথা, আমরা কমিটেড, আমরা কঠোর পরিশ্রম করে টার্গেট পূরণ করবো। আমাদের প্রচুর অর্থ লাগবে। এসডিজি উন্নয়ন বাজেটে ঢুকিয়েছি। আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ভালো, অভ্যন্তরের আর্থিক অবস্থাও ভালো। তবে, বাইরের অর্থ পেলে এসডিজি বাস্তবায়ন আরও সহজ হতো।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের ফোরামে গেলে তারা অনেক মিটিং করে, খাওয়া-দাওয়া ভালো দিয়ে থাকে। কিন্তু, শেষপর্যন্ত উৎসাহ ছাড়া তারা কিছুই দেয় না।
জাতিসংঘে এসডিজি ফোরামে অংশ নেওয়ার কথা উল্লেখ করে এম এ মান্নান বলেন, এসডিজি নিয়ে আমরা কী করছি, এটা তুলে ধরেছি। আমরা নানা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি। ২০০০ সালে শুরু হওয়া ‘মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল’ বা এমডিজি অর্জনের সময় শেষ হয় ২০১৫ সালে। এরপর, জাতিসংঘ ঘোষণা করে ১৫ বছর মেয়াদি ‘সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল’ বা এসডিজি। জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে ২০১৬ থেকে ২০৩০ মেয়াদে এসডিজির ১৭টি লক্ষ্য পূরণ করতে হবে। ১৭টি লক্ষ্যের অনেক কিছুই আমাদের নিজেদের করতে হবে। যেমন- দারিদ্র্য বিমোচন, সুপেয় পানি, স্যানিটেশন, শিক্ষা। এগুলো নিজেদের তাগিদেই করতে হবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, অর্থনীতির বিষয়ে বিদেশ থেকে বেশি কিছু আশা করি না। আমাদের অভ্যন্তরীণ সম্পদ থেকে থেকে অর্থ বের করতে হবে। আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়ছে, মাথাপিছু আয়ও বাড়ছে। ফলে, আমাদের নিজেদের অর্থ দিয়েই এসডিজি বাস্তবায়ন করতে পারবো।
তিনি বলেন, বিশ্ব জলবায়ু তহবিল পেতে সমস্যা হয়। তাই, আমরা নিজেরাই এমন একটা তহবিল করছি। নিজেদের উদ্যোগেই জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করছি।
দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, আপনারা (সাংবাদিক) দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তথ্য দেন, ফাইল দেন, আমি ব্যবস্থা নেব।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব নূরুল আমিন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমেদ, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) বেগম সাহিন আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৯
এমআইএস/একে