এতে রেলের কয়েকটি স্টেশন থেকে ঢাকার সঙ্গে এখনও সরাসরি রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
রেল সূত্রে জানা যায়, চলতি বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে গাইবান্ধা জেলায়।
রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ বাজার সেকশন ও জামালপুর-তারাকান্দি সেকশনের সরিষাবাড়ী-বয়ড়া স্টেশনের মধ্যবর্তী স্থানে রেললাইন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে আন্তঃনগর তিস্তা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ট্রেনসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ছেড়ে আসা সব ট্রেন দেওয়ানগঞ্জ বাজার ও তারাকান্দি পর্যন্ত চলাচল না করে জামালপুর স্টেশন পর্যন্ত চলছে।
অন্যদিকে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বাদিয়াখালী রোড-ত্রিমোহনী জংশন স্টেশনের মধ্যবর্তী স্থানে রেললাইন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ঢাকা-লালমনিরহাট রুটে চলাচলকারী লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা-সান্তাহার-বগুড়া-বোনারপাড়া-কাউনিয়া-লালমনিরহাট রুটের বদলে ঢাকা-সান্তাহার-পার্বতীপুর-লালমনিরহাট রুট দিয়ে চলাচল করছে। একইভাবে রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা-সান্তাহার-বগুড়া-বোনারপাড়া-কাউনিয়া-রংপুর রুটের বদলে ঢাকা-সান্তাহার-পার্বতীপুর-রংপুর রুট দিয়ে যাতায়াত করছে।
আন্তঃনগর দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ট্রেনটি দিনাজপুর-সান্তাহার-দিনাজপুর রুটের বদলে দিনাজপুর-গাইবান্ধা-দিনাজপুর রুটে এবং আন্তঃনগর করতোয়া এক্সপ্রেস সান্তাহার-বুড়িমারী-সান্তাহারের বদলে সান্তাহার-বোনারপাড়া-সান্তাহার দিয়ে চলাচল করছে।
পদ্মরাগ এক্সপ্রেস ট্রেনটি বন্যার কারণে বাদিয়াখালী স্টেশনে আটকা পড়ায় বন্ধ রয়েছে সান্তাহার-লালমনিরহাট-সান্তাহার রুটের ট্রেন চলাচল। পাঁচপীর-উলিপুর স্টেশনের মধ্যে রেললাইন পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ৪২১-৪২২ নম্বর লোকাল ট্রেন পার্বতীপুর-কুড়িগ্রাম-পার্বতীপুর ও ৪১৫-৪১৬ নম্বর লোকাল ট্রেন তিস্তা জংশন-কুড়িগ্রাম-তিস্তা জংশন রুটে চলাচল করছে।
রেলের মহাপরিচালক মো. শামসুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, চলমান বন্যায় পশ্চিমাঞ্চলে কোনারপাড়া থেকে গাইবান্ধা সেকশনে ৭ কিলোমিটার পথ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা কাজ শুরু করেছি, আশা করি ২৮ জুলাইয়ের মধ্যে সংস্কার কাজ শেষ করতে পারবো।
তিনি আরও জানান, নতুন করে বন্যা না হলে ঈদের আগেই সব কাজ শেষ হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৯
টিএম/এএ
.jpeg)
