বুধবার (২৪ জুলাই) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা জানান তথ্যমন্ত্রী।
ওয়েজ বোর্ড নিয়ে সর্বশেষ অবস্থা কী-জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভা কমিটির সভা হবে, সে সভায় তা চূড়ান্ত হবে।
‘ঘোষণার কতগুলো সরকারি বিধিবিধান মানতে হবে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হওয়ার পর সেটি মন্ত্রিসভায় পাঠাতে হবে। বৃহস্পতিবারই সেটি চূড়ান্ত করতে পারবো। ’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে আহ্বায়ক করে গত ২১ জানুয়ারি মন্ত্রিসভায় নবম ওয়েজ বোর্ড রোয়েদাদ বাস্তবায়ন সম্পর্কিত মন্ত্রিসভা কমিটি পুনর্গঠন করা হয়।
ওই সময় মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানিয়েছিলেন, নবম ওয়েজ বোর্ডে সাংবাদিক-কর্মচারীদের পাঁচটি শ্রেণিতে ১৫টি গ্রেড রয়েছে। প্রথম তিনটি গ্রেডে মূল বেতনের ৮০ শতাংশ এবং নিচের তিন গ্রেডে ৮৫ শতাংশ বেতন বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে।
এছাড়া ৬০-৭০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়। আর মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বৈশাখী ভাতা যুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে।
গত বছরের ৪ নভেম্বর সাংবাদিকদের জন্য নবম ওয়েজ বোর্ডের রোয়েদাদের সুপারিশ তথ্যমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন নবম ওয়েজ বোর্ডের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক। এ সুপারিশ মন্ত্রিসভায় উত্থাপিত হয়।
ওয়েজ বোর্ডে সাংবাদিকদের বেতন কাঠামো চূড়ান্ত করে থাকে। ২০১২ সালে সাংবাদিকদের জন্য অষ্টম ওয়েজ বোর্ড গঠন করা হয়েছিল। পরের বছর এ বোর্ড নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত করেছিল।
২০১৫ সালে সরকারি কর্মচারীদের নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণার পর নিজেদের নতুন বেতন কাঠামোর জন্য আন্দোলন করে আসছেন সাংবাদিকরা।
সাংবাদিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের জানুয়ারিতে নবম ওয়েজ বোর্ড গঠন করে তথ্য মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৯
এমআইএইচ/ওএইচ/