বুধবার (২৪ জুলাই) বিকেলের দিকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আকস্মিক এ ভাঙন দেখা দেয়। আর ভেঙে যাওয়ার পর স্থানীয় প্রশাসন বাঁধটি সংস্কারে উদ্যোগ নিয়েছে।
ময়মনসিংহ স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক গালিভ খান জানান, এরইমধ্যে বিকেল থেকে বাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে।
জানা যায়, বাঁধটি ভেঙে যাওয়ায় সদর উপজেলার চর গোবিন্দপুর, চর জেলাখানা, দূর্গাপুর, বারেরচর, চরসিরতা ইউনিয়নের প্রায় তিন শতাধিক বাড়িঘর ও ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। এতে করে কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। কারো কারো ঠাঁই হয়েছে খোলা আকাশের নিচে।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, ২০০১ সালে ব্রহ্মপুত্র নদের পশ্চিম তীরে ২৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বাঁধ নির্মাণ করা হয়। পরে আর বড় ধরনের বন্যা না হওয়ায় বাঁধটি সংস্কারে কোনো তৎপরতা ছিল না।
বাঁধ ভাঙার কারণ সম্পর্কে জানিয়ে ময়মনসিংহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম জানান, পাহাড়ি ঢল ও বন্যার পানির চাপ বেশি থাকায় বাঁধের পাড়ে লাগানো গাছের শিকড় দিয়ে পানি প্রবেশ করে প্রায় ৭০ মিটার বাঁধ ভেঙে গেছে। এরইমধ্যে বাঁধটি মেরামতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৯
এমএএএম/জেডএস