বিষয়টি বুধবার (২৪ জুলাই) রাত পৌনে ১০টায় বাংলানিউজকে মোবাইল ফোনে নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্রীয় লঞ্চ মালিক সমিতির সহ সভাপতি ও সুন্দরবন নেভিগেশনের স্বত্তাধিকারী সাইদুর রহমান রিন্টু।
তিনি বলেন, ২০১৬ সালে শ্রম মন্ত্রণালয়, লঞ্চ মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে ত্রিপাক্ষিয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে মালিক সমিতির সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে অসুস্থ ও হজ্জ যাত্রী থাকায় বরিশাল নদী বন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে যাত্রীবাহী দু’টি লঞ্চ।
বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা আজমল হুদা মিঠু সরকার জানান, বরিশাল নদী বন্দর থেকে বুধবার (২৪ জুলাই) রাতে ৫টি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে যাওয়ার কথা ছিল। তবে মালিকরা লঞ্চ চালনায় বিরতি ডাকায় বরিশাল থেকে পাঁচটির মধ্যে মাত্র দু’টি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। এসব লঞ্চে রোগী ও হজ্জ যাত্রীরা রয়েছেন।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দিবাগত রাত পৌনে ৯টায় ফারহান ৮ এবং রাত ৯টায় কীর্তনখোলা ১০ যাত্রী নিয়ে বরিশাল নদী বন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা করে।
লঞ্চের স্টাফরা জানান, তাদের কেবিনগুলো আগেই বুকিং দেওয়া ছিল। হজ্জযাত্রীরা লঞ্চে উঠে যাওয়ায় মানবিক কারণে তারা লঞ্চ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। তবে বন্দরে থাকা অপর তিনটি লঞ্চ যাত্রী ওঠানো শুরু করে আধা ঘণ্টার মধ্যে তাদের আবার নামিয়ে দেয়। এই লঞ্চগুলো হলো এ্যাডভেঞ্চার ৯, পারাবত-১১ ও সুরভি-৮।
এদিকে ঢাকার সদরঘাটে গিয়েও যাত্রীরা ফিরে গেছেন। এরকমই এক লঞ্চ যাত্রী রুমানা আক্তার জানান, লঞ্চ চলবে এ কথা জানতে পেরে ২ ঘণ্টার পথ পারি দিয়ে ঘাটে এসে দেখেন লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে শুধু দক্ষিণাঞ্চলের উদ্দেশে টিপু-৭ ও ফারহান কোম্পানির অপর একটি লঞ্চ যাত্রী তুলছে। যে লঞ্চে কোনো জায়গা না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে।
জানা যায়, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে কর্মবিরতি শুরু করে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন। ১৬ ঘণ্টা পর তারা প্রত্যাহার করে কর্মবিরতি। কিন্তু এ ধর্মঘট করায় ক্ষুব্ধ হয় লঞ্চ মালিকরা। এ কারণে শ্রমিকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার হলেও লঞ্চ না ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন মালিকরা।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৯
এমএস/আরএ