বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি উত্থাপন করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশ গুপ্ত।
পরিষদের এ নেতা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহার সাক্ষাতের বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমে তর্ক-বিতর্কের ঝড় উঠেছে।
তিনি বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের ফ্রিডম হাউজের এক বিজ্ঞপ্তিতে দেখেছি, প্রিয়া সাহাকে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টার ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। কোনো কোনো মার্কিনি গণমাধ্যমে আমাকে সংগঠনের সভাপতি পরিচয় করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে আমি রানা দাশগুপ্ত সংগঠনের সভাপতি নই। আমি সাধারণ সম্পাদক। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে এহেন সাংগঠনিক পরিচিতি নিয়ে সৃষ্ট বিভ্রান্তির পরিপ্রেক্ষিতে এটিকে সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ড বিবেচনায় গত ২৩ জুলাই সংগঠনের কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটির জরুরি সভায় প্রিয়া সাহাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করে সব সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তিনি ঢাকায় ফিরে এলে তার বক্তব্য শুনে এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
রানা দাশগুপ্ত বলেন, প্রিয়া সাহা ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশ থেকে ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোক ‘ডিজঅ্যাপিয়ার’ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন। ‘ডিজঅ্যাপিয়ার’ বলতে তিনি কী বোঝাতে চেয়েছেন তা তিনিই ভালো বলতে পারবেন। এটি যদি স্বাধীন বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ‘গুম’ বা ‘নিখোঁজ’ অর্থে বলে থাকেন তবে তা অসত্য এবং আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, প্রিয়া সাহার পৈর্তৃক বাড়িটি যে অগ্নিসংযোগে ধ্বংস করা হয়েছে চলতি বছরের মার্চ মাসের দিকে, এটি সত্য।
এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে রানা দাশগুপ্ত বলেন, তার বাড়ি গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের নির্বাচনী এলাকায় হওয়ায় প্রিয়া সাহা আমার সামনেই মন্ত্রীর কাছে বিচার চেয়েছিলেন। কিন্তু মন্ত্রী তার সঙ্গে কথা বলতেও অনীহা প্রকাশ করেন।
আরেক প্রশ্নের জবাবে রানা দাশগুপ্ত বলেন, আজ পর্যন্ত প্রিয়া সাহার সঙ্গে আমার কোনো কথা হয়নি। অতএব প্রিয়া সাহা কবে বাংলাদেশে ফিরবেন এ সম্পর্কে সাংগঠনিকভাবে আমাদের কিছু জানা নেই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থে সংখ্যালঘু সমস্যাবলীকে পাশ না কাটিয়ে সমস্যাগুলোকে ইতিবাচকভাবে মোকাবিলা করাই সঠিক হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। আজকের এ সংবাদ সম্মেলন থেকে সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রদত্ত অঙ্গীকার পূরণের পাশাপাশি অনতিবিলম্বে সংখ্যালঘু সমস্যাবলী নিরূপণে ও তা থেকে উত্তরণের সুপারিশ প্রণয়নের জন্যে সংসদীয় কমিশন গঠনের দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য নিম চন্দ্র ভৌমিক, বাসুদেব ধর, নির্মল রোজারিও, জোসেপ মন্ডল, অ্যাডভোকেট পরিমল গুহ, জয়ন্তী রায় প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৯
এমএইচ/এইচএ/