বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির সঙ্গে টিআইবির নতুন করে সমঝোতা স্মারক সইয়ের বিষয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানের সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি একথা বলেন।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালকের উদ্দেশে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন হিসেবে গড়ে তুলতে হলে উদ্ভাবনী ধারণার প্রয়োজন।
তিনি বলেন, কমিশন তরুণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে যে ২৮ হাজার সততা সংঘ গঠন করেছে, তাদের মাধ্যমে বিতর্ক প্রতিযোগিতা, রচনা প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এগুলো বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। টিআইবি এসব কার্যক্রমের ওপর গবেষণা করতে পারে, যাতে আমরা বুঝতে পারি, আসলে কী ঘটছে। শিক্ষার্থীদের মনোজগতে আমাদের এ ক্ষুদ্র প্রয়াসে কি কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটছে- বিষয়টি জানা দরকার। কারণ, আমরা তাদের পেছনে যে অর্থ ব্যয় করছি, তা জনগণের অর্থ।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, আইনি কারণেই কমিশনকে ছোট-বড় সব ধরনের মামলা করতে হয়। কারণ, ক্ষুদ্র দুর্নীতির বিষয়ে যিনি অভিযোগ করেন, তারও আইনি প্রতিকার পাওয়ার অধিকার আছে। তাই, বিদ্যমান আইনে প্লি বার্গেনিং সিস্টেম সংযোজন করা গেলে চুনোপুঁটিদের মামলাগুলো হয়তো আইনি প্রক্রিয়ায় অন্যভাবে নিষ্পত্তি করা সম্ভব। এতে মামলা জট কমতে পারে।
এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কমিশনের সক্ষমতার কিছুটা ঘাটতির কারণেই অপরাধীদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ থাকে, তা হয়তো কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় উন্মোচিত করা যায় না। সে কারণেই হয়তো কমিশনের মামলায় শতভাগ শাস্তি নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। তারপরও কমিশনের প্রায় ৭০ শতাংশ মামলায় সাজা হচ্ছে। এটি অবশ্যই ইতিবাচক পরিবর্তন। কমিশনের কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বহু সংখ্যক প্রশিক্ষণ করা হয়েছে, এখনও প্রশিক্ষণ চলছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দুদকের সঙ্গে আমাদের নাড়ির সম্পর্ক। আমরা এ প্রতিষ্ঠানটির সৃষ্টি থেকেই পাশে আছি। আমরা দুদককে আরও শক্তিশালী করতে একসঙ্গে কাজ করতে চাই।
তিনি বলেন, এটি অত্যুক্তি হবে না যে, টিআইবি বর্তমান কমিশনের কাছ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা পাচ্ছে।
ইফতেখারুজ্জামান দুদক চেয়ারম্যানের উদ্দেশে বলেন, আপনার অকপটতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক কার্যক্রম সত্যিই প্রশংসনীয়। আমার বিশ্বাস, মানুষ এটা পছন্দ করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৯
এসএমএকে/একে