যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রবল স্রোতে নলীন-পিংনা-যোকারচর বাঁধের টেপিবাড়ি নামকস্থানে গত ১৮ জুলাই রাতে ভেঙে যায়। এ বাধটি ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়ক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
এদিকে গত শনিবার (২০) জুলাই এলেঙ্গা-ভূঞাপুর সড়কের নির্মাণাধীন শ্যামপুর সেতুর বিকল্প সড়কের (ডাইভারশন) পশ্চিমপাশের গ্রামের মানুষ কেটে দেয়। ওই এলাকার মানুষের বক্তব্য সেতু পুনর্নিমাণের জন্য যে বিকল্প সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে তা নিজ দিয়ে পানি প্রবাহের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই পশ্চিম পাশের অন্তত ১০টি গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়। রাস্তা কেটে দেওয়ার পর এলেঙ্গা-ভূঞাপুর যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে টাঙ্গাইল থেকে ভূঞাপুরগামী বাস-ট্রাক কালিহাতী উপজেলার বাগুটিয়া হয়ে ঘুরে যেতে হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নলীন-পিংনা-যোকারচর বাঁধে (ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়ক) গিয়ে দেখা যায় বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে জিও ব্যাগ ফেলে মেরামত করা হয়েছে। ফলে ভেঙে যাওয়া অংশ দিয়ে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়েছে। এখন সড়ক ও জনপথ বিভাগ রাস্তা তৈরির জন্য সেখানে মাটি ফেলছে।
নলীন গ্রামের আকবর আলী জানান, এই জায়গা ভেঙে যাওয়ায় তাদের ভূঞাপুর উপজেলা সদরে যাতায়াত কষ্টকর হয়ে পড়েছে। ভাঙা অংশ ঝুঁকি নিয়ে পার হয়ে তারপর যানবাহনে যেতে হচ্ছে।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকশৌলী সিরাজুল ইসলাম জানান, বাঁধের ভাঙা অংশ মেরামত হয়েছে। সড়ক বিভাগ এখন রাস্তার কাজ করছে। সড়ক বিভাগ সূত্র জানায়, মাটি ফেলে এটি যানবাহন চলাচলের উপযোগী করতে আরো কয়েকদিন লাগবে।
এলেঙ্গা-ভূঞাপুর সড়কের শ্যামপুর সেতুর বিকল্প সড়কে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে গ্রামের লোকজন রাস্তাটি কেটে দেওয়ার পর সড়ক ও জনপথ বিভাগ সেখানে বেইলী সেতু স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। বেইলী সেতুর সংযোগ অংশ নির্মাণ কাজ চলছে।
টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আমিমুল এহসান বাংলানিউজকে জানান, শুক্রবার এটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭১১ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৯
এএটি