তবে এবারের বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে মৎস্যখাতে। এ খাতে ২ কোটি ১৪ লাখ ক্ষতি হয়েছে।
মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এ বছর ২৪৭ হেক্টর আয়তনের ১ হাজার ৪৮টি পুকুর ও দীঘির মাছ ভেসে গেছে। যেখানে ছিল প্রায় ৮৫ মেট্রিক টন মাছ এবং ১ লাখ ৩১ হাজার পরিমাণ পোনা। যার বাজার মূল্য প্রায় ২ কোটি ১৪ লাখ টাকা। তবে গেল বছরের তুলনায় এবার মৎস্যখাতে বেশি ক্ষতি হয়েছে। গেল বছর প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়।
খাগড়াছড়ি জেলা মৎস্য সম্পদ কর্মকর্তা এ কে এম মোখলেছুর রহমান বলেন, অন্য উপজেলাগুলোতে ক্ষতি হলেও মূলত দীঘিনালা ও খাগড়াছড়ি সদরে মৎস্যখাতে বেশি ক্ষতি হয়েছে। সমতলের মত এখানে বন্যা না হলেও পাহাড়ি ঢলের কারণে পুকুর, দীঘি থেকে মাছ ভেসে গেছে।
অপরদিকে জেলা প্রশাসনের সূত্র বলছে, প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়ির ৪ উপজেলার ৮ হাজার ৪০ পরিবার আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার লোক সংখ্যা ৪০ হাজার ৩৮০ জন। এছাড়া ১০০ হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে এখনো টাকার পরিমাণ নিরুপণ করা হয়নি। মূলত উজান থেকে নেমে আসা ঢলে নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে ঘরবাড়ি, কৃষি ও মৎস্য সেক্টরে ক্ষতি হয়।
এদিকে, চেঙ্গী ও মাইনী নদীর শাসন প্রকল্প না নেওয়ায় ভাঙনরোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। প্রতি বর্ষা মৌসুমে পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে বিস্তীর্ণ এলাকা। ইতোমধ্যে বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক তালিকা করেছে প্রশাসন।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে একটা তালিকা দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। ইতোমধ্যে যা সহযোগিতা পেয়েছি, তা ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আরও সহায়তা চেয়েছি। যদি মন্ত্রণালয় থেকে তা পাওয়া যায়, তাহলে তালিকা অনুপাতে বিতরণ করা হবে।
গত ৮ জুলাই থেকে ১০ দিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়িতে ৫৭৫ দশমিক ৯৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এ সময়ে চেঙ্গী ও মাইনী নদীর পানি বেড়ে নিচু এলাকা প্লাবিত হয়। এ সময় ২৫টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়। সেখানে প্রায় সাড়ে তিন হাজার লোক আশ্রয় নেন। পাহাড় ধসে ঝুঁকিতে থাকা কিছু পরিবারকে প্রশাসন সরিয়ে নেয়। তবে দীঘিনালায় পাহাড় ধসে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৯
এডি/আরবি/