তিনি বলেন, প্রতিদিন প্রায় দুই কিলোমিটার হেঁটে শিশু সন্তান তাহসিনকে নিয়ে পাথরঘাটা পৌরশহরের একটি স্কুলে যেতে হয়। রাস্তার এমন বেহাল অবস্থা একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সরেজমিনে দেখা যায়, পাথরঘাটা পৌরসভার সড়কগুলোর বিভিন্ন অংশে পিচ ও ইটের খোয়া ওঠে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। পৌরশহরের সড়কেই চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। তবুও ঝুঁকি নিয়ে পৌরসভার এ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দিয়ে শতশত মানুষের যাতায়াত করছে।
পাথরঘাটা পৌরশহর থেকে টেংড়া সড়ক, রাসেল স্কয়ার থেকে লঞ্চঘাট ব্রিজ যাওয়ার পথে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে সড়কে এ করুণ দশা। মূল সড়ক থেকে নিচু থাকায় একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তার ওপর হাঁটু পানি জমে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা।
এছাড়া পৌরসভার তালতলা থেকে বিএফডিসি, পাথরঘাটা পূর্ব বাজার থেকে লঞ্চঘাট এবং লঞ্চঘাট থেকে ফেরিঘাট আবাসন এলাকারসহ প্রায় প্রতিটি সড়কের বেহালদশা। একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।
পৌরশহরের বাসিন্দা শাহ-আলম, ছগির শিকদার, কামাল জোমাদ্দার বাংলানিউজকে জানান, সড়কটি সংস্কার করার কিছুদিন যেতে না যেতেই বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমান সরকার ব্যাপক উন্নয়ন করলেও পাথরঘাটা শহরে টেংরা বাজার থেকে আসতে একমাত্র প্রধান সড়কের এ বেহাল দশায় হতাশ পৌরবাসী। এ সমস্যা সমাধানে আমরা অনেক দিন আগেই মেয়র ও কাউন্সিলরদের কাছে একাধিকবার বলেছি, তাতেও কোনো কাজ হয়নি। আমরা নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে সড়কের পানি সরিয়ে ফেলার ব্যবস্থা করেছি। জানি না এ ভোগান্তি কবে শেষ হবে। গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন কোমলমতি শিশুসহ সবাই ভোগান্তি পোহালেও সংশ্লিষ্ট কারও মাথা ব্যথা নেই। প্রতি নির্বাচনের সময় মেয়র কাউন্সিলররা আশ্বাস দিলেও তারা কিছুই করনে না বলেও জানান তারা।
পাথরঘাটা পৌরসভার রোডে জলাবদ্ধতাসহ অন্য সমস্যার কথা স্বীকার করে মেয়র আনোয়ার হোসেন আকন বলেন, পৌরসভায় যে পরিমাণ টাকা লাগে তা আমাদের নেই। এরই মধ্যে সিনেমা হলের রাস্তার কাজের দরপত্র হয়ে গেছে। অল্পের মধ্যেই কাজ শুরু হবে। এছাড়া যে রাস্তাগুলোতে পানি জমে সেগুলো সড়ক ও জনপদের, তারপরেও অনেক স্থান থেকে পানি সরিয়ে দেওয়ার জন্য আমরা কাজ করেছি। পৌরসভার জন্য যদি এক কোটি টাকা বরাদ্দ হয়, তাহলে সব ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ করে পাথরঘাটাবাসীকে একটি আদর্শ পৌরসভা উপহার দিতে পারবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৯
ওএইচ/