আটকরা হলেন-পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার মুরাদিয়া এলাকার মো. মজিবুর রহমানের ছেলে মো. আজিজুল হক আজিজ (২৫) ও শরিয়তপুরের জাজিরা উপজেলার ঢালী কান্দি এলাকার আ. কাদির সানির ছেলে মুফতি আ. হাকিম (৩৭)।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিকেলে র্যাব-৮ এর সদর দফতর থেকে পাঠানোর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এরআগে বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) রাজধানীর মিরপুর ও দোহার থানার জয়পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক আজিজুল হক আজিজ জেএমবির সক্রিয় সদস্য বলে স্বীকার করেছে। তিনি ২০১০-১১ সালে পটুয়াখালীর স্থানীয় দাখিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল, আলিম ও ফাজিল পাস করেন। আজিজ ছাত্রাবস্থায় জেএমবি সদস্য আতিকুর রহমান বাবু ওরফে শাওন, নাজমুল, মাইনুদ্দিন ওরফে আলী হোসেন, আল আমিন, হাসানদের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ হয় উগ্রপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পরেন। তিনি কর্মী সংগ্রহের জন্য একাধিকবার ঢাকায় যান এবং জেএমবির দাওয়াত শাখার সদস্য হিসেবে কর্মী সংগ্রহের কাজ করেন। আজিজুল হক আজিজ গ্রাফিক্স এবং আইটি বিষয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং কাজের ছদ্মবেশে দীর্ঘদিন যাবৎ উগ্রপন্থি কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছেন।
অপরদিকে, আটক মুফতি আ. হাকিমও জেএমবির সক্রিয় সদস্য বলে স্বীকার করেছেন। তিনি ২০০২ সালে শরীয়তপুরের জাজিরা অবস্থিত কওমি মাদ্রাসা, ২০০৩-২০০৭ সাল পর্যন্ত মাদারীপুরের শিবচরে অবস্থিত জামিয়াতুল সুন্নাহ মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেন। পরে ২০০৮ সালে ঢাকা গিয়ে কওমি মাদ্রাসা ফরিদাবাদ ঢাকা লেখাপড়া করেন। বর্তমানে পেশায় তিনি একজন মাদ্রাসা শিক্ষক। তিনি ঢাকা দোহারের স্থানীয় মসজিদের ইমাম। আটক মুফতি আ. হাকিম ছাত্রাবস্থায় জেএমবি সদস্য তরিকুল ইসলাম ওরফে সাকিব, মানিক বেপারী, নাজমুলদের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ হয় উগ্রপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পরেন। তিনি জেএমবির দাওয়াতি শাখার সক্রিয় সদস্য।
আটকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জাননো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৯
এমএস/ওএইচ/