ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৭ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

মহাসড়কের পাশে অবৈধ স্থাপনা, ঝুঁকিতে হাজারো শিক্ষার্থী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১০ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১৯
মহাসড়কের পাশে অবৈধ স্থাপনা, ঝুঁকিতে হাজারো শিক্ষার্থী

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বাঐতারা মোড় এলাকায় মহাসড়কের জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি অবৈধ স্থাপনা। এসব স্থাপনার কারণে প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ২ হাজার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা। 

এ বিষয়ে কথা হয় ছাতিয়ানতলী টেকনিক্যাল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র ইসমাইল, মামুন, নাছিম, জান্নাতুল, দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী আসমা খাতুন, নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী বিজলি, রুপা ও মিতুর সঙ্গে।

তারা বাংলানিউজকে জানায়, মুলিবাড়ী-সিরাজগঞ্জ মহাসড়কের বাঐতারা মোড় এলাকায় তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ফটক।

সেখান থেকে বাইপাস রোড হয়ে তাদের স্কুল-কলেজে যেতে হয়। বাড়ি থেকে সাইকেল, মোটরসাইকেল কিংবা রিকশায় নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু মহাসড়ক থেকে স্কুল-কলেজে যাওয়ার বাইপাস রাস্তা ঘিরে যেভাবে দোকানপাট গড়ে উঠেছে তাতে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় রকমের দুর্ঘটনা।

শিক্ষার্থীরা আরও জানায়, বাইপাস সড়ক থেকে মহাসড়ক বেশ উঁচু। আর সবসময়ই দ্রুতগতির যানবাহন চলাচল করে এ মহাসড়ক দিয়ে। এ অবস্থায় বাইপাস সড়ক থেকে মহাসড়কে ওঠার সময় অবৈধ স্থাপনার আড়ালে দক্ষিণাংশের যানবাহন চোখে পড়ে না। ফলে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়।

স্থানীয়রা জানায়, শুধু স্কুল-কলেজ নয়, ওই বাইপাস দিয়ে শত শত মানুষ প্রতিনিয়ত ছাতিয়ানতলী পুরাতন বাজারে যাতায়াত করে। অবৈধ স্থাপনার কারণে তাদেরও জীবনের নিরাপত্তা হুমকির মুখে রয়েছে।  

ছাতিয়ানতলী এসএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হামিদ সরকার বাংলানিউজকে বলেন, আমার বিদ্যালয়ের প্রায় সাড়ে ৪০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। তারা প্রতিদিন ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। মহাসড়ক আড়াল করে বেশ কয়েকটি স্থাপনা হওয়ায় সবসময়ই শিক্ষার্থীদের নিয়ে চিন্তায় থাকতে হয়। এ বিষয়ে মৌখিকভাবে স্থাপনা সরানোর জন্য অনুরোধ করা হলেও তারা তা করেনি।

এদিকে সরকারি জায়গায় ঘর স্থাপনের বিষয়টি স্বীকার করে অবৈধ দখলকারী শহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমি দুটো টিনের ঘর তুলেছি। মাঝখানে একটি গ্যারেজ করা হয়েছে। এসব ঘর পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় করা হয়েছে। এতে যাতায়াতের পথে কারও কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।  

সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম প্রামানিক বাংলানিউজকে বলেন, মহাসড়কটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের হলেও জায়গা পানি উন্নয়ন বোর্ডের।  ভুক্তভোগী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দিলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে যৌথভাবে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালাবে সড়ক বিভাগ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৯
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।