সুস্থ হয়ে বাঁচার জন্য সে ও তার পরিবারের সদস্যরা সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছেন। ইতি ওই গ্রামের মৃত রুস্তুম আলী পাইকের মেয়ে।
জানা গেছে, ইতি গৌরনদী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী ছিল। তিন বছরের অধিক সময় ধরে অসুস্থতার কারণে তার পড়াশুনা বন্ধ হয়ে গেছে। পাশাপাশি ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে গত তিন বছর ধরে সে প্রতি মুহূর্তে মৃত্যু যন্ত্রণা ভোগ করছে। ইতোমধ্যে তার চেহারা বিকৃত হয়ে গেছে। এর পরও তার মনোবল ভাঙেনি। সুস্থ হয়ে ৮/১০টি স্বাভাবিক মানুষের মতো করে বাঁচার স্বপ্ন দেখছেন।
ইতির মা কোহিনুর বেগম জানান, ১১ বছর আগে তার স্বামী মারা গেছেন। এর পর থেকে পাঁচ সদস্যের পরিবার নিয়ে অনেক কষ্ট করে বেঁচে আছেন তিনি। ইতির চিকিৎসার জন্য নিজেদের সব খুইয়েছেন। বড় ছেলে টুটুল ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালায় আর মেঝ ছেলের চায়ের দোকান রয়েছে।
দেশেই যাদের চিকিৎসা করানোর সামর্থ নেই, বিদেশে নিয়ে তারা কীভাবে চিকিৎসা করাবে এ প্রশ্ন ভাই টুটুলের। তিনি জানান, ইতিকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা করাতে হবে বলে দুই বছর আগে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। কিন্তু টাকা-পয়সার অভাবে তা আর হয়নি। তাই সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৯
এমএস/আরবি/