রোববার (২৮ জুলাই) এ সংগঠন থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, প্রতিবছর ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনায় বহুলোক প্রাণ হারান।
সংগঠনের পক্ষ থেকে দেওয়া ২৮ দফার অন্যতম প্রস্তাবগুলো হলো- জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়ক থেকে ফিটনেসবিহীন যানবাহন, নসিমন-করিমন, ইজিবাইক, অটোরিকশা, ব্যাটারি ও প্যাডেলচালিত রিকশার পাশাপাশি মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করা। লাইসেন্সবিহীন ও অদক্ষ চালক ঈদযাত্রায় নিষিদ্ধ করা। বিরতিহীন ও বিশ্রামহীনভাবে যানবাহন চালানো নিষিদ্ধ করা। জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কের ফুটপাত, জেব্রাক্রসিং, পদচারি সেতু, আন্ডারপাস, ওভারপাস দখলমুক্ত করে যাত্রীসাধারণের যাতায়াতের ব্যবস্থা রাখা। ফেরিঘাট, লঞ্চঘাট, নগরীর প্রবেশমুখ ও সড়কের গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারসেকশনগুলোতে দ্রুত গাড়ি পাসিংয়ের ব্যবস্থা করা। দুর্ঘটনা কবলিত যানবাহন দ্রুত উদ্ধার আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থার পাশাপাশি সড়কে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের ঈদের ছুটি বাতিল করা।
এছাড়াও গার্মেন্টস ও অন্য শিল্প কলকারখানায় রেশনিং পদ্ধতিতে ছুটির ব্যবস্থা করা। মহাসড়কের পাশে অস্থায়ী হাটবাজার, অস্থায়ী পশুরহাট বন্ধ করা। মহাসড়কে পশুবাহী যানবাহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করা। দুর্ঘটনা প্রতিরোধে স্পিডগান ব্যবহার ও উল্টোপথের গাড়ি চলাচল বন্ধ করা। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক-মহাসড়ক দ্রুত মেরামত করে যান চলাচলের উপযোগী করা। টিকিট কালোবাজারি বন্ধ করা। সুনির্দিষ্ট কারণ বা অভিযোগ ছাড়া ঈদযাত্রার মাঝপথে যানবাহন থামিয়ে কাগজপত্র চেকিং বন্ধ করার প্রস্তাবনা দেওয়া হয় যাত্রী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১১ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১৯
এইচএডি/