সোমবার (২৯ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
এর আগে গত ২১ জুলাই উপজেলার সয়াহাটে এ গণপিটুনির ঘটনা ঘটে।
নিহত মিনুর শ্যালক জাহাঙ্গীর শেখ বাংলানিউজকে জানান, মিনু পেশায় ভ্যানচালক ছিলেন। গত ২১ জুলাই বাড়ি থেকে সয়াহাটে (হাট) মাছ ধরার জন্য জাল কিনতে যান তিনি। সেখানে জাল কেনার সময় এক ছেলে তার পকেটে হাত দেয়। তখন তিনি ছেলেটার হাত ধরে ফেললে সে চিৎকার শুরু করে। এ সময় আশপাশের লোকজন জড়ো হয়ে তাকে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনি দেন। এক পর্যায়ে তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ওইদিন রাতেই তাকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তিনি আরও জানান, চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকাল ১০টার দিকে ঢামেক হাসপাতালের ২০১ নম্বর ওয়ার্ডে তার মৃত্যু হয়।
কালিহাতী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এস এম ফারুকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, গত ২২ জুলাই মিনুর মেঝ ভাই রাজিব বাদী হয়ে ২২ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি এখন হত্যা মামলায় পরিবর্তিত হবে। মামলায় ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৯
এজেডএস/আরবি/