সোমবার (২৯ জুলাই) ভোর ৫টার দিকে ওই গ্রামের ফরমান আলী মিজিবাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মিসু ওই বাড়ির মৃত সেলিম মিজির মেয়ে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. আলমগীর বাংলানিউজকে বলেন, ভোরে মিসুর মা সালেহা বেগম তার দুই ছেলেকে মক্তবে নিয়ে যান। ওই সময় মিসু ঘরে একা ছিলেন। ঠিক ওই মুহূর্তে একই গ্রামের বাসার খানের ছেলে সুজন খানসহ কয়েকজন তাদের ঘরে ঢুকে চাপাতি দিয়ে মিসুকে কোপাতে থাকে। এসময় মিসুর চিকৎকারে তার মা সালেহা বেগম দৌড়ে এসে হামলাকারীদের ধরার চেষ্টা করেন। কিন্তু তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে বাড়ির লোকজন মিসুকে উদ্ধার করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার সময় দাউদকান্দি এলাকায় সকাল ১০টায় তার মৃত্যু হয়।
মিসুর সম্পর্কে চাচা সাবেক ইউপি সদস্য সেকান্দর মিয়াজী বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনার সময় আমরা ছিলাম না। খবর পেয়ে জানতে পারি মিসুকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
চরমগুয়া গ্রামের ইউপি সদস্য ভুট্টো বাংলানিউজকে বলেন, খবর পেয়ে সকাল ৯টার দিকে ওই বাড়িতে যাই। পুলিশ এসে সব তথ্য নিয়ে গেছে। ঘটনার পর থেকেই হামলাকারী যুবকরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।
ফরিদগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) অহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৯
আরএ