ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৭ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

ফেরিতে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় মাদারীপুরে তদন্ত কমিটি 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৯
ফেরিতে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় মাদারীপুরে তদন্ত কমিটি  ফেরিঘাটের ফাইল ফটো। ইনসেটে নিহত ছাত্র

মাদারীপুর: একজন সচিবের অপেক্ষায় তিন ঘণ্টা দেরিতে ফেরি ছাড়ার ঘটনায় অ্যাম্বুলেন্সে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে মাদারীপুরে একটি কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।

সোমবার (২৯ জুলাই) দুপুরে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শহীদুল হক পাটোয়ারীকে প্রধান করে চার সদস্যের কমিটি করা হয়েছে।

 

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন-শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিবচর সার্কেল) মো. আবীর হোসেন ও বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের এজিএম এ. কে.এম শাহজাহান। কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ওয়াহিদুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নড়াইল কালিয়া পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র তিতাস ঘোষ (১১) গুরুতর আহত হয়। ওই সময় তাকে খুলনার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তার পরিবার আইসিইউ সম্বলিত একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে বৃহস্পতিবার তাকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন।

রাত ৮টার দিকে কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌ-রুটের শিবচরের কাঁঠালবাড়ি ১ নম্বর ভিআইপি ফেরিঘাটে পৌঁছায় অ্যাম্বুলেন্সটি।

তখন কুমিল্লা নামে ফেরিটি ঘাটে যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় ছিল। সরকারের এটুআই প্রকল্পের যুগ্ম সচিব আবদুল সবুর মণ্ডল পিরোজপুর থেকে ঢাকা যাবেন তাই ওই ফেরিকে অপেক্ষা করার জন্য জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ঘাট কর্তৃপক্ষকে বার্তা পাঠানো হয়।  

তিন ঘণ্টা অপেক্ষার পর ফেরিতে ওঠে অ্যাম্বুলেন্সটি। কিন্তু এর মধ্যে মস্তিষ্কে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়ে মাঝপদ্মায় অ্যাম্বুলেন্সেই মারা যায় স্কুলছাত্র তিতাস।

পরিবারের অভিযোগ, তিতাসকে বাঁচাতে তারা ফোন করেন জরুরি নম্বর ৯৯৯-এ। সাহায্য চান ঘাটে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদেরও। কিন্তু কারও অনুরোধই রাখেননি ঘাট কর্তৃপক্ষ।

বিআইডব্লিউটিসির কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক আব্দুস সালাম মিয়া বলেন, ‘পদ্মায় স্রোতের কারণে ১৮টি ফেরির মধ্যে মাত্র ৮টি ফেরি চলাচল করছিল। দ্রুত পারাপারের কথা বিবেচনা করে ওই অ্যাম্বুলেন্সটিকে ভিআইপি ফেরিতে ওঠানো হয়। তবে ফেরি ছাড়তে স্বাভাবিকের খুব বেশি দেরি করা হয়নি।

জেলা প্রশাসক ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে পারাপারের ব্যাপারে আমি ফেরি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলাম। ১ নম্বর ঘাট দিয়ে জরুরি অ্যাম্বুলেন্স এবং সরকারি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা পার হয়ে থাকেন। তবে সেখানে মুমূর্ষু রোগীর ব্যাপারে ব্যবস্থা না নিয়ে যদি ফেরি ছাড়তে দেরি করা হয় তাহলে কর্তৃপক্ষ ভুল করেছে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।