সোমবার (২৯ জুলাই) মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ওই ছাত্রকে তার মা দেখতে গেলে কান্নাকাটি করে এসব কথা জানায় শিশুটি। তখন মাদ্রাসার পরিচালকেরা ভুক্তভোগীর পরিবারকে নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা করে।
এ ঘটনায় মাদ্রাসার শিক্ষক নিজাম উদ্দিনকে (২৫) আটক করেছে পুলিশ।
শিশুটি জানায়, গত ১৮ জুলাই শিক্ষক নিজামউদ্দিন রাত ১২টার দিকে রুমের লাইট নিভিয়ে তার পাশে শুয়ে গায়ে হাত দেয়। পরবর্তীতে তাকে বিভিন্ন অবান্তর প্রশ্ন করে ঘটনা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে। ২৮ জুলাই একইভাবে রাতে আবারও তার পাশে শুয়ে থাকে ও শিশু ছাত্রের গায়ের কাথা সরিয়ে হাত দেয়। সোমবার সকালে তাকে আলাদা ডেকে জিজ্ঞাস করে যে রাতের কথা কাউকে জানিয়েছে কি না।
তবে অভিযুক্ত শিক্ষক নিজামউদ্দিন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এগুলো তার সাজানো কথা। তাকে পড়ালেখা করতে বলায় সে এসব বলছে।
ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফজলুল হক জানান, আমরা উভয়পক্ষের কথা জানতে পেরেছি। আপাতত সমাধানের জন্য থানায় উভয়কেই নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে ঘটনার বিস্তারিত তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০২২৯ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৯
এনটি