মহিলা কলেজের অনার্সের শিক্ষার্থী শারমিন আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, কলেজ শেষ করে গাড়ির জন্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয় অনেকক্ষণ। এরমধ্যে একটু বৃষ্টি হলেই বিপদ।
তিনি বলেন, খুলনায় মেয়েদের উচ্চশিক্ষার জন্য এটা অনেক বড় একটি প্রতিষ্ঠান। এখানকার ছাত্রীদের বছরের পর বছর যাত্রীছাউনির অভাবে রাস্তায় ঝুঁকি নিয়েই যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। এটা খুবই দুঃখজনক।
একই কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী আখি আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, প্রচণ্ড রোদ, ঝড়-বৃষ্টিতে আমাদের রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এতে নারী যাত্রীরাই বেশি দুর্ভোগের শিকার হন।
এ দুই শিক্ষার্থী দুর্ভোগ লাঘবের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
সাধারণ যাত্রীরা জানান, বয়রা মহিলা কলেজ মোড়ে কলেজ বা অফিস ছুটি হলেই দৌলতপুর-ফুলবাড়িগেটগামী যাত্রীদের রাস্তায় দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয় মাহিন্দ্রা, ইজিবাইক বা টাউন সার্ভিসের জন্য। কিন্তু এখানে কোনো যাত্রীছাউনি না থাকায় রোদ-বৃষ্টিতে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
তারা বলেন, রাস্তার আশেপাশে দাঁড়ানোর কোনো জায়গা নেই। রোদ-বৃষ্টির মধ্যেই দাঁড়াতে হয়। কিছুদিন আগেও রাস্তার পাশে দাঁড়ানোর কিছুটা জায়গা ছিল। কিন্তু একটি রাজনৈতিক দলের অঙ্গ সংগঠনের কার্যালয় হওয়ার কারণে সেটাও হারিয়েছে। এখন ঝুঁকি নিয়ে মূল সড়কের ওপরই অপেক্ষা করতে হয়।
খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক টিএম জাকির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, কলেজ মোড়ে কোনো যাত্রীছাউনি না থাকায় ছাত্রীসহ সাধারণ যাত্রীদের খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। কষ্ট করতে হয় রোদ-বৃষ্টিতে।
যাত্রীদের এ দুর্দশা দূর করতে দ্রুত যাত্রীছাউনি নির্মাণে কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান তিনি।
সংশ্লিষ্ট এলাকার খুলনা সিটি করপোরেশনের ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ মোসারাফ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কলেজ অধ্যক্ষ যদি মেয়রের কাছে একটি আবেদন করেন, তাহলে আমি এ বিষয়ে তদবির করতে পারবো।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৩ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৯
এমআরএম/একে