সোমবার (২৯ জুলাই) বিকেলে সৌদির জেদ্দার একটি মরুভূমিতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত সুমন কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চন্ডিপাশা ইউনিয়নের ঘাগড়া-নদীপাড় গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে।
সৌদি প্রবাসী একই এলাকার হিমেল নামের একজন মোবাইলে ফোন করে সুমনের পরিবারকে তার মারা যাওয়ার খবর জানায়।
নিহত সুমনের পরিবার জানায়, গত আট মাস আগে সুমন মেসার্স খান ওভারসিজ (আর এল-৯১৫) এজেন্সির মাধমে মেসার্স আসনাদ আল ওয়াহা কনট্রাকটিং কোম্পানির অধীনে সৌদি আরবে যান। তার পাসপোর্ট নম্বর-বিডব্লিউ-০০৩৪৪০১। ভিসা নম্বর-৬০৫৩৩৭৫৬৯৮।
সৌদি আরব যাওয়ার পর আট মাস পার হয়ে গেলেও কোম্পানিতে সুমনকে কোনো কাজ দেয়নি। বাধ্য হয়ে তিনি গত শনিবার (২৭ জুলাই) সিজার সার্ভিস নামের একটি কোম্পানিতে বলদিয়ার (পরিচ্ছন্নকর্মী) কাজে যোগ দেন।
গত সোমবার (২৯ জুলাই) বিকেলে কোম্পানির একটি গাড়িতে করে ময়লা নিয়ে জেদ্দার একটি মরুভূমিতে ফেলতে যান সুমন। সেখানে ময়লা ফেলার সময় অসাবধানতাবশত গাড়ির ঢাকনার নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
সুমনের মারা যাওয়ার খবরে পরিবারের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহত সুমনের বৃদ্ধ বাবা, বোন ও স্ত্রীসহ প্রিয়া (৮), তমা (৪) ও নাজিফা (দেড় বছর) নামে তিন মেয়ে রয়েছে।
সুমনের বৃদ্ধ বাবা গিয়াস উদ্দিন ছেলের মরদেহটি দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৪ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৯
আরএ