ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৭ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

চাঁদা না দেওয়ায় হোটেল মালিক জুনায়েত খুন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০২ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৯
চাঁদা না দেওয়ায় হোটেল মালিক জুনায়েত খুন গ্রেফতার শ্যুটার সবুজ ওরফে সজিব

ঢাকা: রাজধানীর দারুসসালাম এলাকার শাহজালাল আবাসিক হোটেলের মালিক রফিকুল ইসলাম জুনায়েতের (৪০) কাছে তিন বছর আগে কোটি টাকা চাঁদা চেয়েছিলেন সন্ত্রাসীরা। আর সেই চাঁদার টাকা না দেওয়ার খুন হয়েছিলেন জুনায়েত।

এ হত্যাকাণ্ডের প্রায় সাড়ে তিন বছর পর প্রধান আসামি শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদাত গ্রুপের সেকেন্ড ইন কমান্ড শ্যুটার সবুজ ওরফে সজিবকে (২২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর প্রগতি সরণি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি জানায় পিবিআই।



পিবিআই বলছে, জুনায়েতের কাছে এক কোটি টাকা চাঁদা চেয়েছিল শাহাদাত বাহিনী। কিন্তু সেই টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় জুনায়েতকে।

পিবিআই ঢাকা মেট্রোর (উত্তর) বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, জুনায়েত হত্যার ঘটনার কয়েক বছর আগে থেকেই স্থানীয় চাঁদাবাজ, শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহদাত গ্রুপের নামে সেকেন্ড ইন কমান্ড আনোয়ার হোসেন সবুজ ওরফে সজিব ওরফে স্যুটার সবুজসহ তার সহযোগী স্যুটার সোহেল, শেখ মৃদুল ওরফে বাবু ওরফে মির্জা, আব্দুর রহিম ও আনোয়ার হোসেন পলাশ হোটেল থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করে আসছিল।

শাহদাত গ্রুপ রফিকুল ইসলাম জুনায়েতের কাছে এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করলে সে প্রত্যাখ্যান করলে ক্ষিপ্ত হয় তারা। এরপর মোবাইলে বিভিন্ন হুমকি-ধামকি আসতে থাকে। কিন্তু জুনায়েত চাঁদা না দিতে অনড় ছিলেন। আর এ কারণেই পরিকল্পিতভাবে জুনায়েতকে হত্যা করা হয়।

২০১৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি দিনগত রাত সোয়া ১২টার দিকে হোটেল পাইকপাড়া সরকারি স্টাফ কোয়াটার জামে মসজিদের সামনে দিয়ে আসার পথে জুনায়েতকে আসামিরা ঘিরে ধরে। শ্যুটার সবুজ তাকে গুলি করলে সবাই মিলে পালিয়ে যায়।

পিবিআই জানায়, শাহজালাল আবাসিক হোটেলের মালিক রফিকুল ইসলাম জুনায়েত হত্যাকাণ্ডের পরদিন সকালে তার ছোট ভাই ডা. সাঈদ হোসেন সোহাগ বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে দারুসসালাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন (মামলা নম্বর-৬)।

দারুসসালাম থানা পুলিশ মামলাটি তদন্তকালে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আসামি সোহেল ওরফে শ্যুটার সোহেল (৩৫) ও শেখ মৃদুল ওরফে বাবু ওরফে মির্জাকে (৩৪) গ্রেফতার করেন।

এরই মধ্যে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে এবং ঘটনায় জড়িত আব্দুর রহিম ও আনোয়ার হোসেন পলাশকে গ্রেফতার করে মামলাটি তদন্ত শেষে ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

ডিবি পুলিশ প্রধান দু’জন আসামি গ্রেফতার না করেই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করায় বাদী আদালতে নারাজি আবেদন করেন। আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন। দায়িত্ব পাওয়ার পর পিবিআই ঢাকা মেট্রোর একটি দল মূল আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

মামলার ঘটনায় জড়িত সহযোগী আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান এসএসপি আবুল কালাম আজাদ।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৯
পিএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।