মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দিনগত রাতে বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ।
এর আগে, এদিন সকালে অভিযান চালিয়ে ওই তিন জনকে সাভারের তেঁতুলঝোড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- খুলনার তেরগাদা থানার আকুলিয়া গ্রামের আবদুল হাফিজ সরদারের ছেলে শুকুর সরদার (৩০) ও শরীয়তপুরের জাজিরা থানার বায়েরটাকি গ্রামের খোরশেদ হাওলাদারের ছেলে সজিব হাওলাদার (২৫)। তারা উভয়েরই সাভারের হেমায়েতপুরের তেঁতুলঝোড়া এলাকায় থাকতেন। এছাড়া পটুয়াখালী থেকে কাজল (৩৫) নামে নারীকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে, গত ২৪ জুলাই (বুধবার) দিবাগত রাতে তেঁতুলঝোড়ার বাঘবাড়ী হরিণধরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাব্বির হোসেন (২০) নামে এক কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে এ মামলায় গ্রেফতার করে পুলিশ।
সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রাণকৃষ্ণ রায় বাংলানিউজকে জানান, ‘ছেলেধরা’ গুজবে সালমা নামে নারীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় সংগৃহীত ভিডিও ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করে ওই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবাববন্ধি দেন। এছাড়া ভিডিও ফুটেজ দেখে কাজল নামে এক নারীকেও পটুয়াখালী থেকে গ্রেফাতার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ ঘটনায় গত ২৫ জুলাই (বৃহস্পতিবার) গ্রেফতার সাব্বির হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্ধি দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
গত ২০ জুলাই (শনিবার) দুপুরে হেমায়েতপুরের তেঁতুলঝোড়া এলাকায় একটি শিশুকে বিস্কৃট খাওয়ানোর চেষ্টা করছিলেন এক নারী। এ সময় এলাকাবাসী ছেলেধরা গুজবে তাকে গণপিটুনি দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা প্রায় ৮শ’ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করা হয়। সালমা মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার মুসলিমাবাদ গ্রামের বিল্লাল বেপারীর মেয়ে।
** সাভারে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে নারীর মৃত্যু
** সাভারে গণপিটুনিতে নিহত সেই নারীর পরিচয় মিলেছে
** সন্তানদের দেখতে গিয়ে ‘গণপিটুনিতে’ প্রাণ হারান সালমা
** সাভারে গণপিটুনিতে নারী নিহত হওয়ার ঘটনায় আসামি ৮০০
** সাভারে গণপিটুনিতে সালমাকে হত্যা, যুবক গ্রেফতার
বাংলাদেশ সময়: ০২৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৯
এসআরএস