বুধবার (৩১ জুলাই) তৃতীয় দিনের মতো কমলাপুর থেকে পশ্চিমাঞ্চল ও খুলনাগামী সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সকাল থেকেই কমলাপুরে টিকিট প্রত্যাশীদের দীর্ঘ লাইন লক্ষ্য করা গেছে।
সোনার হরিণ টিকিট পেতে মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) মধ্যরাত থেকেই কমলাপুরে অবস্থান নিয়েছেন অনেকে। রাত জেগে টিকিটের অপেক্ষায় ক্লান্ত হলেও তাদের মধ্যে কোনো ক্লান্তির ছাপ নেই।
টিকিট প্রত্যাশী এম এ হক মঙ্গলবার মধ্যরাতে কমলাপুর রেলস্টেশনে এসেছেন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বাঙালির শেকড় গ্রামে। তাই পরিবার ছাড়া ঈদ অসম্ভব। আমাদের পারিবারিক অন্য যেকোনো জাতির চেয়ে বেশি। তাই কষ্ট করে রাত জেগে টিকিটের অপেক্ষায় আছি। টিকিট পেলেই সেই কষ্ট দূর হবে।
আরেক টিকিট প্রত্যাশী সায়মা। তিনিও ভোর ৪টা থেকে কমলাপুরে। তিনি বলেন, টিকিট পেলেই কষ্ট দূর হবে।
কমলাপুর রেলস্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ আমিনুল হক বাংলানিউজকে বলেন, দু’টি স্পেশাল ট্রেনসহ কমলাপুর থেকে ১৬টি ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিদিন ২৭ হাজার ৮৫৫টি টিকিট বিক্রি করবে রেলওয়ে। এর মধ্যে কাউন্টার থেকে ১৩ হাজার ৯২৭টি টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। বাকি অর্ধেক টিকিট রেলসেবা অ্যাপসের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে। বুধবার ৯ আগস্টের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে। তাই যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় রয়েছে।
রেলওয়ের তথ্য মতে, ৩১ জুলাই ৯ আগস্টের, ১ আগস্ট ১০ আগস্টের এবং ২ আগস্ট ১১ আগস্টের অগ্রিম টিকিট দেওয়া হবে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে ৪টা পর্যন্ত টিকিট বিক্রি করা হবে। একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ৪টি টিকিট কিনতে পারবেন।
ঈদুল ফিতরের মতো এবারও রাজধানী ঢাকার পাঁচটি স্থান থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রি হচ্ছে। স্থানগুলো হচ্ছে-কমলাপুর স্টেশন, বিমানবন্দর স্টেশন, বনানী স্টেশন, তেজগাঁও স্টেশন এবং ফুলবাড়িয়া স্টেশন।
কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা অঞ্চলের টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। তবে এবার টিকিট বিক্রিতে এখন পর্যন্ত কোনো অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। যাত্রীরা লাইনে দাঁড়িয়ে সুশৃঙ্খলভাবে টিকিট সংগ্রহ করছেন।
** রেলের টিকিট: কাউন্টারে ১৩৯২৭, অ্যাপসে ১৩৯২৮
বাংলাদেশ সময়: ০৯২২ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৯
টিএম/ওএইচ/