মঙ্গলবার (০৬ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর আয়োজিত সভায় কুঠিবাড়ীর কাস্টোডিয়ান মুখলেছুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও বক্তা ছিলেন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সারওয়ার মোর্শেদ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যাপক ড. আকলিমা খাতুন, লেখক গবেষক গৌতম কুমার রায়, নাট্যকার ও কথাসাহিত্যিক লিটন আব্বাস, গণমাধ্যমকর্মী হাসান আলী প্রমুখ।
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. রশিদুজ্জামানের স্মারক বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া সভায় বক্তারা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্যকর্ম, শিলাইদহ কুঠিবাড়ী, ও বাঙালি জীবনের প্রভাব তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে প্রতিবছর কবির জন্মজয়ন্তী পালনে নানা বর্ণাঢ্য আয়োজন দেখা গেলেও প্রয়াণ দিবসকে ঘিরে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য আয়োজনে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহল থেকে কোনো উদ্যোগ না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এসময় আগামী বছর থেকে কবি গুরুর এই মহাপ্রয়াণ দিবস পালনের দাবি জানান বক্তারা।
প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. সরওয়ার মোর্শেদ রবীন্দ্রনাথকে বাংলার এক অবিচ্ছিন্ন সত্ত্বা উল্লেখ করে বাঙালি জীবন সমৃদ্ধির প্রধান অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তিনি জাতীয়ভাবে বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে রবীন্দ্রনাথকে বেশি করে ছড়িয়ে দেওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আয়োজনের প্রধান উদ্যোক্তা শিলাইদহ কুঠিবাড়ীর কাস্টোডিয়ান মুখলেছুর রহমান তার সমাপনী বক্তব্যে বলেন, সরকারিভাবে বিশ্বকবির মহাপ্রয়াণ দিবস পালনে এখানে কোনো উদ্যোগ বা আয়োজন না থাকলেও গত চার বছর ধরে নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও ছোট্ট পরিসরে ঘরোয়া আয়োজনে দিবসটি পালন করা হয়।
এবছর কুঠিবাড়ীর ঐতিহাসিক বকুলতলায় কবিগুরুর ৭৮তম মহাপ্রয়াণ দিবস পালনের মধ্য দিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলের প্রতি জন্মজয়ন্তীর মতোই এই প্রয়াণ দিবসটি পালনেও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ করেন।
আলোচনা শেষে জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ কুষ্টিয়া ও বকুলতলা শিল্পীগোষ্ঠীর শিল্পীদের পরিবেশনায় সংগীতানুষ্ঠান ও কবিতা আবৃতি হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১৯
আরএ