মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বিকেলে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান উদ্দিন প্রধানের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তিনি।
চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাজমুল হক জানান, কালা ডাকাত আদালতে বলেছে- তারা ৮ জন মিলে ডাক্তার বাংলাতে ডাকাতি করে।
ডাকাতরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে প্রথমে দারোয়ান রবি মুন্ডা ও সন্তোষকে জিম্মি করে রশি দিয়ে বেঁধে ফেলে। পরে বাংলোতে থাকা ডা. অনিমেষ গুলদার (৪৫), স্ত্রী সরমিস্ট কর্মকার ও ৪ বছরের ছেলে অরিত্র গুলদারের মাথায় পিস্তল টেকিয়ে ৫ লাখ টাকার মালামাল লুটে নেয়। পরে ডাকাতির মালামাল তারা ভাগ করে নেয় বলেও জানায় কালা ডাকাত। আদালতে তিনি তার সব সহযোগীর নামও প্রকাশ করেছেন।
তিনি আরও জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৮ ডাকাতের মধ্যে তিনজন আটক হয়েছে। একজন বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। অন্যরাও পুলিশের গোয়েন্দা জালে আছে। শিগগিরই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। এছাড়াও আটক অপর দুই ডাকাতকে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।
রোববার (৪ আগস্ট) দিবাগত রাতে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় ডাকাত সোলাইমান। ৩ পুলিশ সদস্য আহত হন।
এ ঘটনার এক সপ্তাহ আগে দেউন্দি টি কোম্পানির অপর বাগান লালচান চা বাগানের ম্যানেজার বাংলোতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতদের আক্রমণে বাগানের ম্যানেজারসহ তিনজন আহত হন। উভয় ঘটনায় বাগান কর্তৃপক্ষ মামলা দায়ের করে এবং এলাকায় আতংক দেখা দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১৯
এসএইচ