শুক্রবার (১৬ আগস্ট) ঢাকার গাবতলী, মহাখালী-সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ও এয়ারপোর্ট-কমলাপুর রেলস্টেশনে রাজধানীমুখী মানুষের চাপ লক্ষ্য করা যায়।
প্রতিটি বাস ও ট্রেনের সবগুলো আসনই দখলে ছিল যাত্রীদের।
গোপালগঞ্জ থেকে ঈদের ছুটি কাটিয়ে রাজধানী আসা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা হালিমা ইয়াসমিন বলেন, রোজার ঈদে ছুটি পাইনি। তাই এ ঈদে বাড়ি যাওয়ার আলাদা একটা আনন্দ ছিল। শনিবার থেকে অফিস খোলা। তাই শুক্রবারই চলে আসলাম। বাবা-মা এখনো বাড়ি রয়ে গেছে। আমাকে চলে আসতে হলো। পথের ভোগান্তি কেমন ছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, যাওয়ার সময়ের মত ছিল না। যাওয়ার সময় ফেরির জন্য ৮ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছিল। কিন্তু আসার সময় এক ঘণ্টার মধ্যেই ফেরি পেয়েছি। এছাড়াও পথে জ্যাম ছিল না সে রকম।
অন্যদিকে সরকারি চাকরিজীবীদের রোববার (১৮ আগস্ট) থেকে অফিস শুরু হবে বলে শনিবারও রাজধানীমুখী যানবাহনগুলোতে যাত্রীদের চাপ থাকবে।
কমলাপুর রেলস্টেশনের ম্যানেজার আমিনুল হক বাংলানিউজকে বলেন, শুক্রবার ও শনিবার দু’দিনই যাত্রীদের চাপ থাকবে। তবে অনেকে আবার পথে ভোগান্তির ভয়ে শুক্রবারই চলে এসেছেন।
স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তা আনিস হোসেন বলেন, শনিবারও অনেক চাপ থাকবে। আবার আমার সহধর্মিনী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে। তার শনিবার থেকেই অফিস। তাই জ্যামের চিন্তা ও সবমিলিয়ে শুক্রবারই চলে এলাম। শনিবার একটু বিশ্রাম নিয়ে রোববার থেকে পুরোদমে অফিস করবো।
রাজধানী ফেরত এসব মানুষরা আবারও মুখর করে তুলবেন ঢাকাকে। কর্মব্যস্ত ঢাকার চিরাচরিত রূপে আবারও দেখা যাবে শত বছরের ইতিহাস সমৃদ্ধ ঢাকাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৯
এসএইচএস/আরবি