পাথরঘাটা-কাকচিড়া সড়কের ঘুটাবাছা এলাকায় যাওয়ার সময় যাত্রীর উদ্দেশে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন অটোরিকশা চালক মো. শামিম মিয়া।
উপকূলীয় উপজেলা বরগুনার পাথরঘাটার সঙ্গে নদী ও স্থলপথে যোগাযোগের মাধ্যম থাকলেও দূরত্ব ও সময়ের দিক বিবেচনায় সড়ক পথকেই গুরুত্ব দিয়ে থাকেন সাধারণ মানুষ।
এ দুই সড়কের পাথরঘাটা অংশের বিভিন্নস্থানে খানাখন্দের কারণে বর্তমানে যান চলাচলে যেমন বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে, তেমনি নাকাল হচ্ছেন চালক, যাত্রী ও পথচারীরা। এতে সাধারণ মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আর বৃষ্টি-কাদায় একাকার এবং শুকনো মৌসুমে ধুলায় অন্ধকার হয়ে যাওয়া সড়কে প্রতিনিয়ত ছোট-বড় দুর্ঘটনা লেগেই থাকছে।
গত কয়েকদিন ধরে ভারী বৃষ্টির কারণে উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের ঘুটাবাছা সড়কে বড় বড় খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। পথচারীদের দুর্ভোগ লাঘবে এবং দুর্ঘটনা এড়াতে রাস্তার মাঝে বেড়া দিয়েছে এলাকাবাসী।
সরেজমিনে দেখা যায়, পাথরঘাটা-মঠবাড়িয়া সড়কের পাথরঘাটা অংশ এবং পাথরঘাটা নতুন বাজার ব্রিজ এলাকা থেকে কাকচিড়া-আমুয়া সড়কের বিভিন্ন অংশে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত। সড়কের বেহাল দশার কারণে প্রতিনিয়তই বিকল হচ্ছে যানবাহন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছাতে সময় লাগছে দ্বিগুণ। রাস্তায় খানাখন্দ। প্রতিবছর একই এলাকার রাস্তা খারাপ হয়ে যায়। সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে সরকার কর্তৃক পুনঃ মেরামত করলেও আবারও খানাখন্দ তৈরী হয়।
মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা নাজমুল আহসান, জাফর খান, স্বপন মিয়াসহ বেশ কয়েকজন বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিবছর বৃষ্টির দিনে কাদায় চলাচল করাতো যায়ই না, বিভিন্ন খানাখন্দে গাড়ি আটকে পড়ে। কিছুদিন পরপর নামেমাত্র ইট ও বালি দিয়ে মহাসড়কের গর্ত মেরামত করা হলেও সামান্য বৃষ্টিতে সেগুলো উঠে গিয়ে পুরনো খানাখন্দ দৃশ্যমান হয়। মাঝে মধ্যে কাজ করলেও আবার একই অবস্থা দাঁড়ায়।
পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির বাংলানিউজকে বলেন, খুব তাড়াতাড়ি খানাখন্দে খোয়া ফেলানোর জন্য কাজ শুরু হবে। পুনঃ মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বরগুনা সওজ উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৯
এনটি