রোববার (১৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পাথরঘাটা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। রুমা উপজেলার কামারহাট গ্রামের মো. শাহেদ গাজীর মেয়ে।
মৃত রুমা বেগমের বড় বোন সুরমা বেগম জানান, তিন বছর আগে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হাবিব মৃধার ছেলে জামাল মৃধার সঙ্গে তার ছোট বোন রুমার বিয়ে হয়। তাদের রিফাত নামে একটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে প্রায়ই জামাল ও তার মা রুমাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতো। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশ বৈঠকও হয়।
রোববার (১৮ আগস্ট) সকালে রুমার ছেলে রিফাতের অসুস্থতার খবর জানতে ফোন দিলে রুমা অপর প্রান্ত থেকে জানায় তার শাশুড়ি ও স্বামী তাকে অনেক মারধর করেছে। তারা যেন তাকে তাড়াতাড়ি এ বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। তাৎক্ষণিক জামালের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, কিছু লোক রুমাকে কোলে করে ঘর থেকে বের করছে। পরে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর পরই শাশুড়ি ও স্বামী পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক খালিদ মোহাম্মদ আরিফ বাংলানিউজকে বলেন, হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। মৃতের গলায় দাগ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে পাথরঘাটা থানার ওসি (তদন্ত) মো. সাইদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ময়না-তদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্তের পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৯
আরএ