শুক্রবার (২৩ আগস্ট) দিনগত রাত ২টার দিকে জাদিমুরা পাহাড়ে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন আহত হয়েছেন।
নিহত দু’জন হলেন- টেকনাফের জাদিমুরা শালবাগান শরণার্থী রোহিঙ্গা শিবিরের আকিয়াবের মংডুর সবির আহম্মদের ছেলে মো. শাহ ও রাসিদংয়ের আব্দুল আজিজের ছেলে মো. শুক্কুর।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বাংলানিউজকে জানান, বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ির সামনে থেকে হ্নীলা নয় নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ ও জাদিমুরা এম আর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ওমর ফারুককে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা তুলে নিয়ে যান। এক পর্যায়ে তাকে পাহাড়ে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় শুক্রবার টেকনাফ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নম্বর-৫৯।
তিনি জানান, যুবলীগ নেতা হত্যা মামলার আসামিরা শুক্রবার রাতে জাদিমুরা পাহাড়ে অবস্থান করছে এমন গোপন খবর পেয়ে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটলে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ গুরুতর আহত অবস্থায় দুই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে উদ্ধার করে প্রথমে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে সেখান থেকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাদের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পুলিশের উপ-পরির্দশক (এসআই) মনসুর, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) জামাল ও কনেস্টেবল লিটন আহত হয়েছেন।
ঘটনাস্থলে থেকে দু’টি দেশীয় তৈরি বন্দুক, নয়টি শর্টগানের তাজা কার্তুজ ও ১২ রাউন্ড কার্তুজের খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ওসি প্রদীপ।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৯
এসবি/আরআইএস/