জানা যায়, জেলার অন্যতম বৃহৎ ও প্রসিদ্ধ এ হাট থেকে প্রতিবছর সরকার প্রায় অর্ধকোটি টাকার রাজস্ব আয় করে। তবে হাটটি সংস্কার না হওয়ায় লোকসানের মুখে পড়তে বসেছে হাটের ইজারাদাররা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অল্প বৃষ্টিতেই হাটটি পানিতে তলিয়ে যায়। অনেক পশু বিক্রেতা হাটে না দাঁড়াতে পেরে কেউ রাস্তার উপর আবার কেউ পশু ফেরত নিয়ে গেছেন।
স্থানীয় গরু বিক্রেতা রউফ বাংলানিউজকে বলেন, গত দুই বছর ধরে হাটটি সংস্কার করা হচ্ছে না। হাটে গরু নিয়ে এসে কাদা-পানির কারণে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর গরু বিক্রি করতে না পেরে বাড়ি চলে এসেছি।
হাটের ইজারাদার আব্দুল হক সাহেব অভিযোগ করে বাংলানিউজকে বলেন, এক বছর মেয়াদি এই পশুর হাটটি ভ্যাটসহ প্রায় ৪৫ লাখ টাকায় নাচোল উপজেলা প্রশাসনের কাছ থেকে ইজারা নিই। কিন্তু সরকার এ হাট থেকে লাখ লাখ টাকা রাজস্ব আয় করলেও হাটটি সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। গত ঈদুল আজহার আগে টানা বৃষ্টির কারণে হাটটি কাদায় পরিণত হয়। এরফলে, গরু ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা হাটটিতে পশু বেচা-কেনা করতে ভোগান্তিতে পড়ে। এছাড়াও হাটের মেঝে পাকাকরণ ও ক্রেতা-বিক্রেতার জন্য টিনের ছাউনি অতি জরুরি।
হাটের পরিচালক তরিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, এটি জনপ্রিয় হাট হলেও সরকার দ্রুত সংস্কার না করলে প্রতিবছর রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবে এবং ইজারাদাররা হাট ক্রয়ে বিমুখ হয়ে পড়বে।
নাচোল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবিহা সুলতানা বাংলানিউজকে জানান, ইজারাদারেরা হাটের উন্নয়নে কী কী লাগবে তা জানালে হাটটির সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৯
এনটি