শনিবার (২৪ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের তিনতলায় মাওলানা আকরম খাঁ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ঈদুল আজহার ছুটির ৯ দিনে মোট ১৮৫ জন নিহত হয়েছে।
বিশেষ করে নিসচার সারাদেশে ১২০টি শাখার সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করা হয়। পুরো পর্যালোচনা ও যাচাই-বাছাইয়ের পর এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
নিসচার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এবছর ঈদুল ফিতরের সড়ক পথে ঈদযাত্রা যতটা স্বস্তিদায়ক ছিল ঈদুল আজহায় সেই ঈদযাত্রা ভোগান্তিতে পরিণত হয়। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গে যাত্রা পথে ঘরমুখোদের বেশ ভোগান্তিতে পড়তে হয়। লম্বা সময় জুড়ে সড়কে যানবাহনকে ঠায় বসে থাকতে দেখা যায়। তবে, নৌপথে দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া ঈদযাত্রা ছিল অনেকটা স্বস্তিদায়ক। নৌপথে বেশ কিছু নতুন লঞ্চ বহরে যুক্ত হয়েছিল। এবারের ঈদের আগের দিন সদরঘাট টার্মিনালে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামলাতে পারেননি কর্তৃপক্ষ। এসব বিষয়ে আগামীতে নজর দিলে মনে করে নৌপথ আরও যাত্রীবান্ধব হয়ে উঠবে।
পাশাপাশি রেলপথ বেশ কয়েকজন নতুন বগি যুক্ত হলেও রেলপথের শিডিউল বিপর্যয় টিকিট কালোবাজারি কারণে যাত্রী হয়রানি বেড়েছে অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রিতে এবারও প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে যাত্রীদের বিড়ম্বনা পোহাতে হয়েছিল বলেও তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, নিসচার এবছর ঈদুল আজহার সময় সারাদেশে সড়ক পথে গাড়ি চলাচল নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে ঈদুল আজহায় উত্তরবঙ্গের সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে। তবে, ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডে তিনটি সেতু কাঁচপুর, মেঘনা ও গোমতী খুলে দেওয়ার ফলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামসহ পূর্ববঙ্গের বিভিন্ন জেলা যানজটে হয়নি বললেই চলে এবং সড়ক দুর্ঘটনায় সব অঞ্চলে তুলনামূলকভাবে কম হয়েছে। খুলনা-যশোরে সড়ক দুর্ঘটনা কমেনি বরং বেড়েছে বলে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলের সংখ্যা বেশি থাকলেও সড়ক দুর্ঘটনা এবার তা সামান্য কমেছে। এবার ৪০টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় চালক ও আরোহীসহ মৃতের সংখ্যা ২৯ জন। গত ঈদুল ফিতরের মোটরসাইকেলের দুর্ঘটনা সংখ্যা ছিল ৪০টি, নিহতের সংখ্যা ছিল ৩৮ জন। মোটরসাইকেলের দুর্ঘটনা কমলেও আমরা এখনো শঙ্কিত বলেও তিনি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৯
এসএমএকে/এএটি