তারা হলেন- গুরুদাসপুর উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে মো. হাসান আলী (১৭) ও তার স্ত্রী রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার জামনগর গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে স্বপ্না বেগম (১৪)। হাসান নাজিরপুর ডিগ্রি কলেজে এইচএসসিতে ও স্বপ্না পুঠিয়ার একটি বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ত।
শনিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল ও নাটোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
এর আগে সকালে উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করেন তারা।
গুরুদাসপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বাংলানিউজকে জানান, স্বপ্না ও হাসানের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। একপর্যায়ে দুই পরিবারের অমতে তারা বিয়ে করে। শেষ পর্যন্ত বিয়ে মেনে নেয় উভয়ের পরিবার। শুক্রবার স্বপ্নার মা মেয়েকে দেখতে এসেছিলেন। কোনো কারণে মেয়ে ও জামাইয়ের সঙ্গে তার উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। স্বপ্নার মা গতকাল রাতে চলে যান। এর পর তারা গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। শনিবার ভোরে টের পেয়ে পরিবারের লোকজন তাদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করেন।
পরে অবস্থার অবনতি হলে তাদের নাটোর সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরের দিকে স্বপ্নার মৃত্যু হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসানকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারও মৃত্যু হয়।
তাদের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৯
আরএ