রোববার (২৫ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ গোবদা নিজ বাড়ি থেকে নিহত পূর্ণিমা রানীর (৩০) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ১২/১৩ বছর আগে রবি বর্মনের সঙ্গে বিয়ে হয় একই উপজেলার ভেলাবাড়ি ইউনিয়নের কৈমারী গ্রামের মৃত ধীরেন্দ্র নাথের মেয়ে পূর্ণিমার।
শনিবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে ছেলে-মেয়ে দুষ্টুমী করলে তাদের শাসন করেন রবি বর্মন। রাতে বাড়ি ফিরে পুনরায় ছেলে মেয়েকে লাঠিপেটা করতে থাকেন। এসময় পূর্ণিমা এগিয়ে গেলে তাকেও বেধড়ক মারপিট করেন। একপর্যয়ে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মরদেহ লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করেন রবি।
রোববার (২৫ আগস্ট) সকালে প্রতিবেশীরা বিষয়টি জানতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে হত্যার আলামত পেয়ে স্বামী রবি বর্মনকে আটক করে।
এ ঘটনায় পূর্ণিমার বোন বাদী হয়ে রোববার দুপুরে আদিতমারী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আটক স্বামী রবিকে গ্রেফতার দেখায় থানা পুলিশ।
আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, নিহতের ডান কানের নিচে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং নাকে মুখে রক্ত দেখে প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘন্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৯
আরএ