মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণি স্টাফ কোয়ার্টারে এ ঘটনা ঘটে।
ঝুলন্ত অবস্থায় থাকা আসলামকে উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগে দায়িত্ব পালন করা চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত আসলাম শেবাচিম হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী আব্দুস সোহবাহান হাওলাদার ও হাসিনা বেগম দম্পতির ছেলে। পেশায় তিনি একজন অ্যাম্বুলেন্স ব্যাবসায়ী ছিলেন।
নিহতের স্ত্রী নাহিদা জানান, তিনি রান্না ঘরে ছিলেন। দুপুরে ঘরের দরজা বন্ধ করে উচ্চ শব্দে গান শুনছিলেন আসলাম। আড়াইটার দিকে বড় মেয়ে দরজা ধাক্কা দিলেও ভেতর থেকে কোনো সাড়া শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে দরজা খুলে ফ্যানের সঙ্গে দড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তাকে ঝুলতে দেখেন।
স্থানীয় একজন জানান, আসলামের স্ত্রী’র চিৎকার শোনার পর প্রতিবেশিরা ছুটে আসেন। তারা আসলামকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এসময় আসলামের হাতে লেখা একটি চিরকুট উদ্ধার করে স্বজনরা। তাতে লেখা রয়েছে ‘আমার মৃত্যুর জন্য আমি নিজেই দায়ী’।
মৃত্যুর সঠিক কারণ জানাতে না পারলেও আসলামের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আসলাম দীর্ঘ দিন ধরে মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে ছিল। অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসায় ক্ষতি হলে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি।
কোতয়ালী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আসাদুজ্জামানসহ পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন শেষে পুলিশের এ পরিদর্শক আসাদ বলেন, একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। তাতে ‘আসলাম স্বেচ্ছায় আত্মহত্যা করেছে’ বলে উল্লেখ রয়েছে। তার পরও বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শেবাচিম হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৯
এমএস/এইচএডি