মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাতে উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ফাতেমার অভিযোগ, একই গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে হুমায়ুনের সঙ্গে ছয় বছর আগে তার বিয়ে হয়।
এরপর ফাতেমা বাবার বাড়িতে গিয়ে গত ৩ আগস্ট স্বামী হুমায়ুনের বিরুদ্ধে যৌতুক ও নারী নির্যাতনের মামলা করেন। এ মামলায় হুমায়ুনকে ৫ আগস্ট কারাগারে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) জামিনে মুক্তি পেয়ে হুমায়ুন তার স্ত্রী ফাতেমাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। ওই পরিকল্পনা অনুযায়ী রাতে ফাতেমা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে এলে পাশে ওৎ পেতে থাকা হুমায়ুনসহ একদল দুর্বৃত্ত ফাতেমার মুখ চেপে ধরে পার্শ্ববর্তী বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে কুপিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। তখন ফাতেমার চিৎকারে তার বাবা সেখানে গেলে তাকেও মারধর করে দুর্বৃত্তরা। পরে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর থেকে ফাতেমার স্বামী পলাতক রয়েছেন।
মাগুরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মশিউর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ফাতেমা বেগমের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে হত্যার উদ্দেশেই এলোপাতাড়ি কোপানো হয়েছিল।
শালিখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, নির্যাতিত ফাতেমার অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৯
এনটি