ঢাকা, বুধবার, ২৯ মাঘ ১৪৩১, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহযোগিতা করবে থাইল্যান্ড

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৯
দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহযোগিতা করবে থাইল্যান্ড

ঢাকা: জাতিগত নিধনের শিকার হয়ে বিতাড়িত রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে থাইল্যান্ড।

বুধবার (আগস্ট ২৮) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে নব নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত অরুনরুং ফথং হামফ্রেইজ (Arunrung Phothong Humphreys) এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের বড় বোঝা হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা মিয়ানমারের নাগরিক, তাদের অবশ্যই সেদেশে (মিয়ানমার) ফিরে যেতে হবে।

থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যেকার সুসম্পর্কের কথা তুলে ধরে অরুনরুং ফথং হামফ্রেইজ বলেন, ৪০ বছর ধরে দুই দেশের সম্পর্ক খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ ও আন্তরিক।  

বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যকার সম্পর্ককে আরো শক্তিশালী ও নতুন উচ্চতায় নিতে অঙ্গীকারাবদ্ধ বলে জানান নতুন রাষ্ট্রদূত।

বাণিজ্য, শিল্প এবং এনার্জি সেক্টরে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে থাইল্যান্ডের আগ্রহের কথা জানান অরুনরুং ফথং হামফ্রেইজ।
উচ্চ প্রবৃদ্ধি, অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে থাই রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব এবং দিক নির্দেশনায় এটা সম্ভব হয়েছে।

এসময় ব্যাংকক বিশ্ববিদ্যালয় ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ স্থাপন করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত।

চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান নব নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত।

অরুনরুং ফথং হামফ্রেইজ বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ খুবই কৌশলগত অবস্থানে রয়েছে। পূর্ব দিক থেকে যারা দক্ষিণ এশিয়ায় আসবে তাদের জন্য বাংলাদেশ গেটওয়ে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশ এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ দেশ।

নতুন রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে দায়িত্বপালনকালে সব ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সু-সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাত সেক্টরে থাইল্যান্ডের উন্নতির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ড বাংলাদেশকে এক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে পারে।

দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষের কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের লক্ষ্য দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়া এবং মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করা। পরিকল্পিতভাবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলা।

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকারের উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু গ্রামীণ লোকজন।

দারিদ্রের হার ২১.৪ শতাংশে নামিয়ে আনা এবং মাথাপিছু আয় ১৯০৯ মার্কিন ডলারের উন্নীত হওয়ার কথা উল্লেখ করেন।

রেল, সড়ক, আকাশপথে কানেকটিভিটির ওপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী।

নিরাপত্তা ইস্যুতে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কথা উল্লেখ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ান অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যে গুরুত্ব দেয় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৯
এমইউএম/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।