বুধবার (২৮ আগস্ট) উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার রানীপুরা এলাকায় নিজেদের বাড়ি থেকে সাদিকুল ইসলাম নামে ওই শিশুকে উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সে কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠলে তার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে নূরজাহান ও তার পরকীয়া প্রেমিক আব্দুল্লাহকে আটক করা হয়।
নূরজাহান রানীপুরা এলাকার বাসিন্দা এবং আব্দুল্লাহ গাইবান্ধা জেলার সদর থানার ভেরাডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা।
ভোলাবো পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) শফিক আহম্মেদ এ বিষয়ে বাংলানিউজকে জানান, আব্দুল্লাহ আগে সনাতন ধর্মের অনুসারী ছিলেন। তখন তার নাম ছিল সঞ্জয় বর্মণ। তিনি রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচল উপ-শহরে বাণিজ্যমেলার নির্মাণকাজের শ্রমিক হিসেবে কাজ করে আসছিলেন। একসময় পরিচয় হলে নূরজাহানের সঙ্গে সঞ্জয় বর্মণের পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
পরে সঞ্জয়কে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করান নূরজাহান। তার নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় আব্দুল্লাহ। ওই সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করতে নূরজাহান তার মেয়ে খাদিজাকে আব্দুল্লাহর সঙ্গে বিয়ে দেন। নূরজাহানের স্বামী একজন চা দোকানী। তার অনুপস্থিতিতে নূরজাহান ও আব্দুল্লাহ বিভিন্ন সময় শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতেন। তাদের এ পরকীয়ার বিষয়টি টের পেয়ে যান নূরজাহানের স্বামীও।
গত মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) মধ্যরাতে সাদিকুল তার মা নূরজাহান ও ভগ্নিপতি আব্দুল্লাহর অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক দেখে ফেলে। এর জেরে নূরজাহান ও আব্দুল্লাহ আপেলের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাইয়ে সাদিকুলকে হত্যার চেষ্টা চালান। সেই বিষ মিশ্রিত আপেল খেয়ে সাদিকুল অসুস্থ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে পরিবারের অন্যরা তাকে নিকটস্থ সূফী দায়েমউদ্দিন হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান। পরে সাদিকুলকে বিষ খাইয়ের হত্যাচেষ্টার বিষয়টি নিশ্চিত করেন চিকিৎসক। সাদিকুল কিছুটা সুস্থ হলে তার জবানবন্দিতে নূরজাহান ও আব্দুল্লাহকে আটক করে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে দু’জনেই পরকীয়ার সম্পর্ক ও সাদিকুলকে হত্যাচেষ্টার কথা স্বীকার করেন জানিয়ে এসআই শফিক বলেন, এ ঘটনায় নূরজাহানের স্বামী বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৯
এইচএ