এ ঘটনার পাঁচ দিনের মাথায় সাগর থেকে জীবিত অবস্থায় মো. রিয়াজ ওরফে নিজামুদ্দিন মোল্লাকে উদ্ধার করা হয়েছে। তার বাড়ি বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার ধানসাগর বান্দারহাট গ্রামে।
বুধবার (২৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় ভারতীয় জলসীমার মধ্যে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ওই জেলেকে ভাসতে দেখে উদ্ধার করে সে দেশের জেলেরা। পরে তারা নিজামুদ্দিন মোল্লাকে রায়দিঘি ফিশারম্যান অনার্স অ্যাসোসিয়েশনে দিলে তারা তাকে রায়দিঘি থানায় সোপর্দ করেন। বুধবার থেকে ওই জেলে রায়দিঘি থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
এরআগে, শনিবার (২৪ আগস্ট) ভোরে গভীর সমুদ্রের চালনা বয়া দক্ষিণ-পশ্চিমে এফবি খাজা আজমীর ট্রলারে দস্যুরা হামলা করে। তখন ওই ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল করে ১০ জেলেকে পিটিয়ে জখম করে ট্রলারে থাকা প্রায় ৫ লাখ টাকার ইলিশ মাছ লুটে নিয়ে যায় এবং বরগুনার পাথরঘাটার মান্নান ও বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার ধানসাগর বান্দারহাট গ্রামের রিয়াজ ওরফে নিজামুদ্দিন মোল্লাকে মারধর করে ট্রলারের জাল ও রশি দিয়ে বেঁধে সাগরে ফেলে দেয় দস্যু বাহিনী।
নিজামুদ্দিন মোল্লার বরাত দিয়ে ভারতের রায়দিঘি ফিশারম্যান অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রবীন দাস জানান, বুধবার (২৮ আগস্ট) ভারতীয় জলসীমা চব্বিশ পরগনার সুন্দরবন কোস্টাল থানার কেদুয়া দ্বীপের উত্তর দিকে চামটা ৪ নম্বর ব্লকে ভারতের মা মনিমালা নামে একটি মাছ ধরা ট্রলারের জেলেরা মাছ ধরছিল। তখন তারা দূর থেকে পানিতে কিছু ভাসতে দেখে ট্রলার কাছাকাছি গিয়ে দেখে একজন মানুষ ভাসছে। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে ট্রলারে উঠালে সে জীবিত থাকায় তাৎক্ষণিক রায়দিঘি ফিশারম্যান অনার্স অ্যাসোসিয়েশনে নিয়ে আসার পর রায়দিঘি থানায় হস্তান্তর করা হয়।
তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত জেলের বাড়ি বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার ধানসাগর বান্দারহাট গ্রামে। পরে নিজামুদ্দিন দস্যুদের হাতে অমানসিক নির্যাতন এবং আশ্চর্যজনকভাবে রক্ষা পাওয়ার লোমহর্ষক ঘটনা বর্ণনা করেন।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি বাংলানিউজকে বলেন, আমার সঙ্গে ওই দেশের মৎস্য সমিতির কথা হয়েছে। দ্রুত উদ্ধারকৃত জেলেকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৯
এনটি